দিল্লীতে বিজেপি বিরোধী জোট বৈঠক বসার ঠিক আগেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশাংসা করলেন বিজেপির প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যশবন্ত সিনহা। লোকসভা ভোটে বিজেপি বিরোধী জোটের মুখ হওয়ার পুরদস্তুর যোগ্যতা মমতার আছে বলেও জানিয়ে দিলেন তিনি।
কলকাতার উত্তম মঞ্চে তৃণমূলের ডিজিটাল সেল আয়োজিত ‘আইডিয়া অফ বেঙ্গল’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এসে যশবন্ত তৃণমূলনেত্রীর লড়াইকে শুধু সমর্থনই করলেন না, ‘রাইজিং বেঙ্গল’ স্লোগান তুলে উদ্বুদ্ধ করে গেলেন মমতা ও তাঁর দলকে। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার দাবিও কার্যত উসকে দিয়ে গেলেন যশবন্ত। তাঁর কথায়, ‘বাংলা বরাবর দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছে। এ বারের লোকসভা ভোটে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বিরাট ভূমিকা থাকবে’।
এর সঙ্গেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্দেশ্যে একের পর এক তোপ দাগেন বিজেপির প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। তাঁর সাফ কথা, ‘পাগল না-হলে কেউ নোটবন্দীর মতো সিদ্ধান্ত নেয় না’। নোটবন্দির কথা প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করার ঘণ্টা দেড়েকের মাথায় পর পর সাতটা টুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর তীব্র নিন্দা করে পদক্ষেপ প্রত্যাহারের দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই প্রসঙ্গে যশবন্ত বলেন, ‘আমি সত্যিই অবাক হই। অর্থনীতিবিদরাও বিভ্রান্ত ছিলেন। তাঁরাও বুঝতে পারছিলেন না, এর ফল দেশের অর্থনীতির জন্য ভাল হবে, না খারাপ। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তখনই বুঝেছিলেন। তার জন্য তাঁকে কুর্ণিশ।’
কালো টাকা উদ্ধার করে দেশের প্রত্যেক নাগরিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা জমা দেওয়ার যে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মোদী দিয়েছিলেন তা যশবন্তের মতে, নিতান্তই ‘জুমলা’। এই প্রসঙ্গে যশবন্ত বলেন, বোকা না হলে এমন প্রতিশ্রুতি কেউ দিতে পারে না। তাঁর কথায়, ‘আমি ওই ধরনের প্রচারে অংশীদার হইনি। তখনই জানতাম, এটা সম্ভব নয়’।
নাম না করে প্রশাসক মোদীর সমালোচনা করে যশবন্ত বলেন, ‘ক্যাবিনেট, সাংসদ, আরবিআই, সিবিআই এমনকি সুপ্রতিষ্ঠিত সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এই জামানায় ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র পথ, সময় এলে নতুন একটা সরকারকে নির্বাচন করা’।