নোটবন্দীকে ‘নির্মম ধাক্কা’ আখ্যা দিয়েছিলেন মোদী সরকারের প্রাক্তন মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রক্ষণ্যম। এবার বিজেপি সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে বললেন, ‘বৃদ্ধিতে আরও কিছু দিন মন্দার জন্য তৈরি থাকুন! পাশাপাশি জিডিপি-র মাপার পদ্ধতির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এখানেই থামেননি সুব্রক্ষণ্যম। কৃষিক্ষেত্রের দূরবস্থা, জিডিপি মাপার পদ্ধতির বিশ্বাসযোগ্যতা, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বোর্ডের রাজনীতিকরণ, জিএসটি রূপায়ণ এবং প্রাথমিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে যথেষ্ট নজর না দেওয়া নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলে সরকারের অস্বস্তি আরও বাড়ালেন তিনি। দেশ জুড়ে চাষিদের বিক্ষোভে ইতিমধ্যেই বিব্রত কেন্দ্রকে আরও বিপাকে ফেলে অরবিন্দর প্রশ্ন, ‘ফসলের দাম এত কেন পড়ে গিয়েছিল? নগদের অভাব? নগদের অভাব চাষে অনেক বেশি ধাক্কা দেয়!’ অর্থাৎ সুব্রহ্মণ্যম বুঝিয়ে দিলেন, বৃদ্ধির হার যদি তেমন না-ও কমে থাকে, নোট বাতিল কৃষিক্ষেত্রকে বড় ধাক্কাই দিয়েছিল। তাঁর মতে, জিএসটি রূপায়ণের আগেই নোটবন্দি কৃষকের বোঝা দ্বিগুণ করেছিল!
এখন যা পরিস্থিতি, তাতে গোটা দেশের চাষিরা দিল্লিতে উজিয়ে এসে সংসদ মার্গে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। অন্য দিকে প্রধানমন্ত্রী ২০২২-এ কৃষকের আয় দ্বিগুণ করে দেওয়ার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন! সুব্রহ্মণ্যমের অভিযোগ, ‘কিছু ফসলের চাষি ভোটব্যাঙ্ক হিসেবে বেশি সমাদর পান। বাকিদের সেই রাজনৈতিক প্রভাব নেই। আয় দ্বিগুণ করতে গিয়ে হুট করে উৎপাদন বাড়াতে গেলে চলবে না। শুধু ফসলের বেশি দাম ঘোষণা করলেও হবে না। চাষিরা তা না পেলে নগদ ভর্তুকির কথা ভাবতে হবে’।
জিডিপি-র হিসেব বদলে দেওয়ার পর, মনমোহন-জমানার বৃদ্ধির হার কমিয়ে দিয়ে নীতি আয়োগ ও পরিসংখ্যান মন্ত্রক মিলে হিসেব প্রকাশ করেছে। এ দিন তার ‘তদন্ত’ দাবি করেছেন সুব্রহ্মণ্যন। তাঁর দাবি, ‘ভারতে কী ভাবে জিডিপি-র হিসেব কষা হয়, তার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখনই বিশেষজ্ঞদের হাতে ব্যাপারটা ছেড়ে দেওয়া হোক।’ নীতি আয়োগের কর্তাদের নিজেদের বিশেষজ্ঞ বলে দাবি করাটাও তাঁর মতে ‘বাগাড়ম্বর’।