এবার খাস রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরের সামনে সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর আনাগোনা। তীব্র চাঞ্চল্য। যদিও কোনও অঘটন ঘটানোর আগেই তাঁকে পাকড়াও করে নিউইয়র্ক পুলিশ। ওই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি শটগান পাওয়া গিয়েছে।
যেসময় রাষ্ট্রসংঘের বাইরে এইসব হট্টগোল চলছে, সেসময় রাষ্ট্রসংঘের গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা পরিষদ এবং সাধারণ সভা দুইয়েরই বৈঠক চলছিল। তাই তড়িঘড়ি যে গেটের বাইরে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই দরজা দিয়ে কর্মীদের আনাগোনা বন্ধ করে দেন নিরাপত্তারক্ষীরা।
যদিও ওই সময় অন্যান্য দরজা দিয়ে রাষ্ট্রসংঘের কর্মীদের যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া ছিল। পুলিশের ধারণা, ওই ব্যক্তি কোনও কারণে রাষ্ট্রসংঘের সামনেই আত্মহত্যার চেষ্টা করছিলেন।
রাষ্ট্রসংঘের তরফে পরে জানানো হয়, ওই ব্যক্তির কাণ্ডকারখানায় তাঁদের নিয়মিত কাজকর্মে কোনওরকম অসুবিধা হয়নি। এমনকী, তাঁদের কোনও কর্মীর যাতায়াতেও অসুবিধা হয়নি। ওই বন্দুকধারী ব্যক্তি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা বেষ্টনী ভাঙার চেষ্টা করছিল না বলেই পুলিশ সূত্রের খবর।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নাগাদ নিউইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরের সামনে সন্দেহভাজন ওই ব্যক্তিকে দেখতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই ব্যক্তির বয়স ষাটের আশেপাশে হবে বলে ধারনা নিরাপত্তারক্ষীদের। সিকিউরিটি চেক পয়েন্টের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফের করছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল একটি শটগান।
আটক বৃদ্ধ কোনওরকম বিপত্তি না বাধালেও রাষ্ট্রসংঘের সদর দপ্তরের সামনে বন্দুক নিয়ে কীভাবে পৌঁছালেন তিনি? এত নিরাপত্তারক্ষীদের দৃষ্টি এড়িয়ে এতক্ষণ ওই এলাকায় তিনি ঘোরাফেরা করলেন কীভাবে, সেসব নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।
প্রায় ঘণ্টাদুয়েক এভাবে ঘোরাফেরার পর ওই ব্যক্তির হাতে থাকা বন্দুকটি নজরে আসে নিরাপত্তারক্ষীদের। তাঁরা দ্রুত ওই ব্যক্তিকে নিরস্ত করার চেষ্টা করলে, নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বিবাদে জড়ান তিনি। নিরাপত্তারক্ষীরা জানিয়েছেন, বিবাদ চলাকালীন ওই ব্যক্তি নিজের মাথাতেই বন্দুক তাক করেছিলেন। যদিও শেষ পর্যন্ত কোনও অঘটন ঘটানোর আগেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।