জাতীয় সড়কের উপর দাঁড়িয়ে সাইরেন বাজিয়ে চলেছে অ্যাম্বুল্যান্স। কিন্তু, সে আওয়াজ কারও কানে ঢুকছে না। চলছে অবরোধ। উৎসবে আনন্দ করতে দেওয়ার দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে অক্সিজেনের নল নাকে নিয়ে শুয়ে বছর সাতেকের নিথর শিশু। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বাবা, মা।
কৃষ্ণনগরের অবরোধে আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্সের ভিতরে মৃত্যু হল এক শিশুর। মঙ্গলবার রাত ১১ টা থেকে বুধবার ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জগদ্ধাত্রী পুজোয় আতিমারিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল করতে হবে এই দাবিতেই জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন কৃষ্ণনগরের বাসিন্দারা। তারই ফলে মালদা থেকে কলকাতা যাওয়ার পথে মৃত্যু হল অসুস্থ ওই শিশুর, দাবি পরিবারের। ঘটনার পর পাঁচজন অবরোধকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আর তারপরেই প্রায় সাড়ে ৪ ঘণ্টার অবরোধ ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বুধবার সকাল থেকে অবরোধ না থাকলেও ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে তৈরি হয়েছে প্রবল যানজট।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার মোথাবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সাকিবুল শেখ (৭) গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ। মঙ্গলবার রাতে চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম-এর দিকে রওনা দিয়েছিলেন পরিবারের লোকজন। কৃষ্ণনগরের কাছে এসে অবরোধে আটকে পড়েন তাঁরা। জাতীয় সড়কে মাঝরাতে গাড়ি ও ট্রাকের বিপুল ভিড় সরিয়ে এগিয়ে যেতে পারেনি অ্যাম্বুল্যান্স। প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধে আটকে থেকে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় সাকিবুলের। এরপরেই কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানার তরফে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। উঠে যায় বিক্ষোভ।