বিশ্বের অর্থনীতির ইতিহাসে জঘন্যতম নীতি-বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর মোদী সরকারের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত। নোটবন্দীর ৫ বছর পূর্তিতে এভাবেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াল কংগ্রেস।
হাত শিবিরের প্রশ্ন, যে সমস্ত লক্ষ্য পূরণের জন্য সাধারণ মানুষকে প্রবল সঙ্কট ও দুর্দশার মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছিল, যার জন্য এত দিন ধরে এতখানি ধাক্কা খেল দেশের অর্থনীতি, তার ধারেকাছে আদৌ পৌঁছনো গেল কি? কোথায় ফেরানো গিয়েছে কালো টাকা? সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির হাতে পুঁজির জোগানই বা বন্ধ হল কোথায়?
মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং জয়রাম রমেশ একযোগে মোদীর অর্থনীতির সমালোচনা করেছেন। জয়রামের কথায়, ‘মোদীজির নোটবন্দীর সিদ্ধান্ত ঘোষণার পরে পাঁচ বছর পূর্ণ হল। বেকারত্ব বেড়েছে। ক্ষুদ্র শিল্প ধাক্কা খেয়েছে, অনেকগুলি ক্রমশ বন্ধও হয়ে গিয়েছে। উনি (মোদী) দেশের সুস্থ অর্থনীতিকে বিগড়ে দিয়েছেন নোটবন্দীর মাধ্যমে। এই সিদ্ধান্ত বিশ্বের অর্থনীতির ইতিহাসে জঘন্যতম নীতি-বিপর্যয় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে’।
বিরোধীদের বরাবরের অভিযোগ, নোটবন্দীর হঠকারিতা এবং তড়িঘড়ি জিএসটি চালুর কারণে মোদী জমানায় জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারতীয় অর্থনীতি। এ দিন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জয়রাম ফের বলেছেন, ‘নোট নাকচ এবং জিএসটি ভারতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড গুঁড়িয়ে দিয়েছে। সব থেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের।’