এবার রেলের প্রকল্পের বাস্তবায়নের দায়িত্বও সরাসরি বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যোগী হল কেন্দ্রীয় সরকার। এবার থেকে খোলা বাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে লড়াই করেই ছিনিয়ে নিতে হবে কাজের ভার। অর্থাৎ, প্রতিযোগিতা চলবে কার দরপত্র গৃহীত হবে, তা নিয়েই। মঙ্গলবার গভীর রাতে আচমকাই এই সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন করেছে রেল বোর্ড। জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। আর তারপরেই একে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক। একদিকে দেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরকে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে কেন্দ্র। অন্যদিকে সারা দেশের ১০৯টি রুটে ১৫১টি বেসরকারি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্তও ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল মনিটাইজেশন পাইপলাইন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের সরকারি সম্পদকে কার্যত বিক্রির পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এমনকী বহু রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থারও বেসরকারিকরণের অভিযোগ উঠছে। নিন্দার ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। রেল প্রকল্প নিয়ে মন্ত্রকের উল্লিখিত নিয়ম পরিবর্তনের ফলে স্বাভাবিকভাবেই শুরু হয়েছে জল্পনা। এবার কি তবে রেল সেতু কিংবা ফুট ওভার ব্রিজ তৈরির দায়িত্বও সামলাবে বেসরকারি কোনও সংস্থা? উঠছে প্রশ্ন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাতে রেল বোর্ডের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর (প্ল্যানিং অ্যান্ড পিএসইউ) ভি শঙ্করের জারি করা ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, এই সংক্রান্ত যে নিয়ম ২০১৯ সালের ১৯শে ডিসেম্বর কার্যকর করা হয়েছিল, তা অবিলম্বে তুলে নেওয়া হল। এবার থেকে এই সংক্রান্ত পুরো প্রক্রিয়াটিই সম্পন্ন হবে ওপেন টেন্ডারের মাধ্যমে। অর্থাৎ, খোলা বাজারে। এতদিন রেলের যে কোনও প্রকল্পের কাজ করার জন্য রেলমন্ত্রকই যোগ্যতম রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে নমিনেট করত। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সেই ব্যবস্থা আর থাকবে না। কোনও রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কাজের ভার পেতেও পারে, আবার নাও পারে।