বাংলার ক্ষমতায় আছে তৃণমূল। আসামে সদ্যই প্রার্থী দিয়েছে তারা। বিস্তার বাড়াচ্ছে নিজেদের। তা দেখে এবার রাজস্থানের বাঙালিরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ‘আবদার’ জানালেন, এখানেও প্রার্থী দিক তৃণমূল।
রাজস্থানের বাঙালিদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ, এ রাজ্যে সেভাবে মর্যাদা পাননি তাঁরা। স্বাধীনতার পর বিধানসভাতেও ঠাঁই হয়নি কোনও বাঙালির। এবারের নির্বাচনেও এই আক্ষেপই আরও প্রকট হয়ে উঠেছে বাঙালিদের মধ্যে। তাই এবার ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। আর সেই যুদ্ধে মমতাকে পাশে চাইছেন রাজস্থানের বাঙালিরা।
কারণ, পৃথিবীর যে প্রান্তে হোক না কেন, যখনই কোনও বাঙালি সমস্যায় পড়েছেন, গর্জে উঠেছেন বাংলার জননেত্রী। বাড়িয়ে দিয়েছেন সাহায্যের হাত। সে সৌদি আরবে কাজ খুঁজতে গিয়ে বেকায়দায় পড়া তরুণ হোক কিংবা এনআরসি-র নামে বাঙালি তাড়ানোর গেরুয়া চক্রান্ত – সবার আগে আওয়াজ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসামে বাঙালি গণহত্যা হোক কিংবা গুজরাতি বাঙালিদের দুর্গাপুজো করতে সমস্যা, সেখানেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিয়েছেন পাশে থাকার বার্তা। নিজেদের আত্মসম্মান ফিরে পাবার লড়াইয়ে তাই মমতাকে পাশে চাইছেন এখানকার বাঙালিরা।
জয়পুরের বাঙালি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আশিস সরকারের দাবি, মমতা প্রার্থী দিলে বাঙালিরা ফের তাঁদের অস্তিত্ব খুঁজে পাবে। তাঁর অভিযোগ, ‘কংগ্রেস-বিজেপি প্রতি বারই বাঙালি ভোট ব্যাঙ্ককে ব্যবহার করে। কিন্তু ভোট ফুরলেই বাঙালিদের কথা আর কেউ ভাবে না’।
বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট বর্ষীয়ান চিকিৎসক এস কে সরকারের কথায়, ‘এই মুহূর্তে জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বিজেপিকে হঠাতে তিনি বিরোধীদের একজোট করছেন। এ রাজ্যেও বিজেপি সরকার। যদি এখানে তৃণমূল প্রার্থী দেয়, তা হলে জোটের পক্ষে কড়া বার্তা যাবে’।