একে পরপর দুই ম্যাচে হেরে সমস্যায় দল। তার উপর ‘ঘুরে দাঁড়ানোর ম্যাচ’-এ সামনে মিনার্ভা পাঞ্জাব এফসি। যাদের ‘সৌজন্যে’ই ট্রান্সফার ব্যানের শাস্তিতে পড়তে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গলকে। তাই মঙ্গলবারের ম্যাচে জয় ছাড়া অন্য কিছুই মাথায় আনতে নারাজ ইস্টবেঙ্গল। আর সেই জন্য মাঠ ও মাঠের বাইরে যা যা করার প্রয়োজন, সবই শুরু করে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল।
ট্রান্সফার ব্যান উঠে যাওয়ায় এখন অনেকটাই স্বস্তিতে ইস্টবেঙ্গল। তাই দ্রুত নতুন ফুটবলার দলে নিতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল। এই পথে সবার প্রথমে দল থেকে বাদ পড়তে চলেছেন মাহমুদ আল আমনা। ইতিমধ্যেই ম্যানেজমেন্টকে আমনা প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছেন কোচ আলেজান্দ্রো। কিন্তু দলের ফোকাস ধরে রাখতে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে মরিয়া দল। ঠিক হয়েছে, দু-একদিনের মধ্যে আমনার সঙ্গে বসে চুক্তি বিচ্ছেদের ব্যাপারে যাবতীয় কথা চূড়ান্ত করবেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা।
আমনাকে যে রাখা হবে না তা অনেকদিন আগেই ঠিক করে ফেলেছিল ইস্টবেঙ্গল। শুধু সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়া বাকি ছিল। শুক্রবার সেই সিলমোহরই লাগিয়ে দেন আলেজান্দ্রো। মালয়েশিয়ায় আই লিগের প্রস্তুতির সময় যথেষ্ট ভাল ফর্মে ছিলেন আল আমনা। তাঁকে প্রথম এগারোয় ধরেই দল সাজিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। ঠিক ছিল, স্ট্রাইকার এনরিকের কিছুটা পিছন থেকে শুরু করবেন আমনা। কিন্তু হঠাৎ প্রথম ম্যাচে নেরোকার বিরুদ্ধে খেলার আগে প্র্যাকটিসে পিঠে টান অনুভব করেন তিনি। যার জন্য হাসপাতালেও ভরতি করতে হয় তাঁকে। সেখান থেকে ফিরে এসে দীর্ঘদিন বিশ্রামে থাকলেও বল নিয়ে আর প্র্যাকটিসে ফিরতে পারেননি সিরিয়ান মিডফিল্ডার। মাঠে এসে নিজের মতো করে রোজ রিহ্যাব করতেন তিনি। তখনই বোঝা গিয়েছিল, এই মরশুমে আমনার পক্ষে আর ইস্টবেঙ্গলের জার্সি গায়ে খেলা সম্ভব নয়। তবুও আমনার জন্য বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করেছিলেন আলেজান্দ্রো। তারপরেও যখন দেখলেন সুস্থ হচ্ছেন না তিনি, তখন ঠিক করে ফেলেন আমনাকে বাদ দিয়েই চলতে হবে। কোয়েস কর্তাদের আলেজান্দ্রো জানিয়ে দেন, আমনার জায়গায় নতুন বিদেশি আনার কথা ভাবা হোক।
(সংগৃহীত)