চেন্নাই সিটি এফসির দাপট চলছেই। এ বার মোহনবাগান ঘরের মাঠে আটকে দিল দক্ষিণের এই দল। সঙ্গে ধরে রাখল অপরাজিতের তকমা। ঘরের মাঠে আবারও আটকে গেল শঙ্করলালের ছেলেরা। সাময়িক জয়ের আশা জাগিয়েছিলেন সনি নর্ডি কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা ধরে রাখতে ব্যর্থ বাগান রক্ষণ। ছয় ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার শীর্ষে থেকেই খেলতে নেমেছিল চেন্নাই। সপ্তম ম্যাচ শেষে তাতে এক পয়েন্ট যোগ করে সেই জায়গা ধরে রাখল তারা। মোহনবাগানকে ঘরের মাঠে সন্তুষ্ট থাকতে হল এক পয়েন্ট নিয়ে। কিন্তু এই না জয়ের খারাপের মধ্যেই বাগানের প্রাপ্তি সনি নর্ডির অসাধারন এক গোল।
চেন্নাই সিটি এই মুহূর্তে ছুটছে অশ্বমেধের গতিতে। তাদের বিরুদ্ধে দলকে এগিয়ে দিয়ে চমক দেন সনি নর্ডি। হেনরির বাড়ানো বল থেকে গোল করেন হাইতিয়ান স্ট্রাইকার। কিন্তু পিছিয়ে পড়ে গোল শোধ করার পর কীভাবে একটা দল হিংস্র হয়ে উঠতে পারে, তা এদিন চেন্নাইয়ের ফুটবলারদের না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। দলটার রংই যেন বদলে দিয়েছেন স্প্যানিশ ফুটবলাররা। এদিনও তার প্রমাণ মিলল। চেন্নাইয়ের হয়ে সমতা ফেরালেন নেস্টর। আর তারপরই আক্রমণের ধার দ্বিগুণ করে দেন আকবর নওয়াজের দলের স্ট্রাইকাররা। বাগানের বক্সে মুহুর্মুহু আক্রমণ করতে থাকেন তাঁরা। এমন পরিস্থিতিতে গোলকিপার শংকর রায় দুর্দান্ত কিছু সেভ না করলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতেই পারত। ৫০ মিনিটে যাবতীয় কাজ সোনি সেরে না রাখলে আরও একবার লজ্জায় নিমজ্জিত হতে হত বাগানকে।
পাহাড়ে গিয়ে কাশ্মীর জয় করে আসার পরই চার্চিল ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ছন্দপতন ঘটেছিল মোহনবাগানের। ঘরের মাঠে ০-৩ গোলে মুখ থুবড়ে পড়ে দল। আগের ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্সের পর আজ চেন্নাই সিটির বিরুদ্ধে নতুন স্ট্র্যাটেজি ছিল শংকরলালের। এদিন ডিকার অনুপস্থিতিতে স্ট্রাইকারের ভূমিকায় ছিলেন শুধু কিসেকা হেনরি। তবে শংকরলালকে স্বস্তি দিলেন সেই সবুজ-মেরুনের ভরসা সোনিই। যদিও এগিয়ে গিয়েও ড্র করার আফসোসটা থেকেই গেল শিবিরে। এই ম্যাচের পর ৭ ম্যাচ খেলে ১৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই চেন্নাই। সেখানে ৬ ম্যাচে মোহনবাগানের পয়েন্ট ৯।