মুম্বইয়ের সাকিনাকায় যুবতীকে ধর্ষণ-হত্যা নিয়ে মহারাষ্ট্র বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকতে বলেছিলেন রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। এবার এ নিয়ে তাঁকে পাল্টা দিলেন মারাঠা ভূমের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর তোপ, তাহলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দেশের মহিলাদের সুরক্ষা, তাদের ওপর ক্রমবর্ধমান হামলা নিয়ে সংসদের অধিবেশন ডেকে আলোচনা করতে বলুন না! মহিলা নিরাপত্তা গোটা দেশের সমস্যা। চারদিনের সংসদের অধিবেশন বসুক। সেখানে মুম্বইয়ের সাকিনাকার ঘটনা নিয়েও কথা বলা যাবে!
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের গোড়ায় সাকিনাকায় একটি টেম্পোর ভিতরে ৩৪ বছরের এক মহিলাকে ধর্ষণের পর যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে দেয় এক ব্যক্তি। চরম নির্যাতনের শিকার মহিলা হাসপাতালে মারা যান। এ নিয়ে রাজ্যপালের বিধানসভার অধিবেশন ডাকার প্রস্তাবের পাল্টা তাঁকে চিঠি দিয়ে উদ্ধব বলেন, সাকিনাকার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার ভাবনা উপলব্ধি করতে পারছি। আপনি আসলে ভিতরে ভিতরে একজন রাজনৈতিক কর্মী। তবে আপনার নির্দেশের জেরে কিন্তু নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিতে পারে। রাজ্যপালও যদি রাজ্যের বিরোধীদের মতো একই দাবি করেন, তবে সেটা সংসদীয় গণতান্ত্রিক পদ্ধতির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক। সাকিনাকার মতো ঘটনা রুখতে রাজ্য কঠোর পদক্ষেপ করছে।
উদ্ধব প্রাক্তন আরএসএস নেতা কোশিয়ারির নিজের রাজ্য উত্তরাখন্ড-সহ বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে মহিলা নিগ্রহের পরিসংখ্যানের উল্লেখ করেন চিঠিতে। বলেন, আপনার নিজের রাজ্য দেবভূমি বলে পরিচিত উত্তরাখন্ডে মহিলা নির্যাতন ১৫০ শতাংশ বেড়েছে। সেখানে কি বিশেষ অধিবেশন ডাকা যায়! গত ২ বছরে গুজরাতে ১৪২২৯ জন মহিলা নিখোঁজ বলে খবর আছে। গুজরাত পুলিশের রিপোর্ট হল, দিনে ১৪ জন মহিলা ধর্ষিত বা যৌন নির্যাতনের শিকার হন সেখানে। এমন পরিস্থিতিতে গুজরাতে তো অন্ততঃ এক মাসের বিধানসভা অধিবেশন বসা উচিত। উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের ওপর এত নির্যাতন হচ্ছে। কিন্তু সেখানে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনের দাবি করছে না বিজেপি।