একুশের পথে ভরাডুবির পর থেকেই বিজেপির অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, দোষারোপের পালা। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতিকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলে সবাইকে নিয়ে চলার নির্দেশিকাই দেওয়া হচ্ছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে। সূত্রের খবর, আগামী লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় দলের সম্পূর্ণ নতুন টিমকে ময়দানে নামাতে চাইছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডারা। এবং সেই হিসেবেই বাংলায় বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ, অরবিন্দ মেননদের বাংলার দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। এদিকে, সোমবার রাতেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে সুকান্ত মজুমদারকে দলের রাজ্য সভাপতি করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দিলীপকে কেন্দ্রীয় স্তরের দায়িত্ব দিয়ে বিজেপির অন্যতম সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি করেছে দল।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় এসে বিজেপির শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার দাবি করেছিলেন, বাংলায় ২০০টিরও বেশি আসনে জয়লাভ করে ক্ষমতায় আসবে দল। ২০০ দূর অস্ত, বাংলায় গেরুয়া শিবির তিন অঙ্কেই পৌঁছতে পারেনি। সেভাবে নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে দলের অন্দরে বিশ্লেষণ না হলেও প্রাথমিকভাবে মেনে নেওয়া হয়েছিল যে, বুথস্তরের সংগঠন শক্তিশালী না হওয়ার কারণেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একইসঙ্গে সঙ্গত করেছে অভ্যন্তরীণ দলীয় কোন্দল। দলের রাজ্য সভাপতি পরিবর্তনের পর অমিত মালব্য বলেছেন, ‘আমরা প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়েই চলব। দলের নতুন সভাপতি সংগঠন মজবুত করবেন সকলের সমর্থন নিয়েই।’ অর্থাৎ, ইঙ্গিত স্পষ্ট। দলে মতবিরোধ বরদাস্ত করা হবে না।