ব্যক্তিগত প্রয়োজনে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ। গ্রেপ্তার ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কোষাধ্যক্ষ। রাতভর জেরার পর বুধবার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কর্মীদের অভিযোগ, কোষাধ্যক্ষ হওয়ার সুবাদে মধুসূদন মুখোপাধ্যায় কোটি কোটি টাকা তছরূপ করে।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই। মঙ্গলবার রাত থেকে নিজাম প্যালেসে দফায় দফায় জেরা করা হয় তাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় সব প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেনি। তার বয়ানে একাধিক অসঙ্গতি রয়েছে। তার জেরে বুধবার সকালে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির কোষাধ্যক্ষকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই।
ধৃতকে বুধবার সিবিআইয়ের স্পেশ্যাল আদালতে তোলা হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০, ১২০ (বি), ৪৭১ এবং ৪৭৭ (এ) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ধৃতকে এখনও টানা জেরা চলছে। তাকে জেরা করে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলেই আশা তদন্তকারীকে। আর্থিক তছরূপ কাণ্ডে ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির আরও কোনও কর্মী জড়িত রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত চার বছরে ব্যক্তিগত প্রয়োজনে টাকা তছরূপ করেন মধুসূদন মুখোপাধ্যায়। ভুয়ো নথির মাধ্যমে টাকা তছরূপ করেছে বলেই অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তদন্ত শুরু হয়। বয়ানে অসঙ্গতির কারণেই শেষমেশ সিবিআইয়ের জালে ধরা পড়ে ওই কোষাধ্যক্ষ। সিবিআইয়ের দাবি, এখনও পর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা তছরূপের প্রমাণ মিলেছে।