নেপালের সংবিধান গ্রহণে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার এমনই অভিযোগ তুললেন নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। তাঁর অভিযোগ, ২০১৫ সালে নেপালের সংবিধান গ্রহণে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল ভারত। খোদ মোদীর তরফে ‘অসন্তোষ’ বার্তা পৌঁছে দিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন বিদেশ সচিব এস জয়শংকর।
প্রসঙ্গত, সোমবার সংবিধান গ্রহণের বর্ষপূর্তি ছিল। সেই অনুষ্ঠান পালনের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই রবিবার বৈঠকে বসেছিলেন দলের শীর্ষ নেতারা। সেখানে নিজের দল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে একগুচ্ছ ‘কূটনৈতিক নথি’ জমা দেন ওলি।
জানা গিয়েছে, ওলি জমা দেওয়া নথিতে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিশেষ দূত হয়ে নেপালে এসেছিলেন এস জয়শংকর। সংবিধান গ্রহণ করলে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তিনি। নেপালের রাজনীতিবিদের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সংবিধান গ্রহণ করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না।’
উল্লেখ্য, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৫-এ নতুন সংবিধান গ্রহণ করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে নেপাল। তবে নয়া সংবিধানে পাহাড়ি দেশটির তরাইয়ের মদেশীয় সম্প্রদায়ের স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। প্রায় এক মাস ধরে প্রবল বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মদেশীয়রা। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে ভারত-নেপাল সীমান্ত বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লী। যার জেরে রীতিমতো চাপে পড়ে যায় নেপালের অর্থনীতি।