ত্রিপুরায় পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পরই অসুস্থ হয়ে পড়লেন কুণাল ঘোষ। তাঁকে ভর্তি করা হল হাসপাতালে।জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার তৃণমূলের মুখপাত্রকে ত্রিপুরায় খোয়াই থানায় প্রথমে ডেকে পাঠানো হয়। ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে সেখানে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। চারদিনের মাথাতেই ত্রিপুরায় পৌঁছন তিনি। এরপর তাঁকে থানা থেকে জানানো হয় এদিন হাজিরা দিতে হবে আগরতলার এনসিসি থানাতে। সেইমতো জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব চলে। থানা থেকে বেরনোর মুখেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে।
উল্লেখ্য, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে কুণাল ঘোষকে ত্রিপুরা পুলিশ তলব করেছিল। ত্রিপুরা পুলিশের তরফে মূলত একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করা হয়। ওই মামলা হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ মোট ছয় জন নেতার বিরুদ্ধে।বিষয়টি টুইট করে জানিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি লেখেন, ‘খোয়াই পুলিশের নোটিশ পেলাম। যা যা অভিযোগ আনা হয়েছে, সব মিথ্যে। আমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করা হচ্ছে। থানার ওসি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ আমাদের পাঁচজনের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেছেন। তবে আমি নোটিশের নির্দেশ পালন করব।’ সেই তলবে সাড়া দিয়েই মঙ্গলবার সকালে আগরতলার এনসিসি থানায় পৌঁছন তৃণমূল মুখপাত্র। বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয় কুণালকে। ঘণ্টাখানেক চলে সেই পর্ব। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন কুণাল।
অন্যদিকে, ত্রিপুরা হাইকোর্টের তরফে সোমবার ত্রিপুরা সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের অনুমতি নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে। সেই মর্মেই এবার মঙ্গলবার কড়া অবস্থান নিল বিপ্লব দেবের সরকার। কোভিড পরিস্থিতি ও আসন্ন উৎসবের মরশুমের কথা মাথায় রেখে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ত্রিপুরায় সমস্ত রাজনৈতিক মিছিল বা সভা করা যাবে না। হলফনামায় হাইকোর্টকে এমনটাই জানাল ত্রিপুরা সরকার। এরপরই ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা ঘিরে ফের অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।