ভোটে জেতার জন্য বাঁকা পথ ধরেছে বিজেপি। সেই জন্য ‘ইচ্ছাকৃত’ ইভিএম মেশিনে গণ্ডগোল করছে তারা। মধ্যপ্রদেশে বিধানসভা ভোটে একের পর এক ইভিএম মেশিন খারাপ হওয়ার ঘটনায় এভাবেই বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলল কংগ্রেস।
১৯৯৯ সালে প্রথম বার ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (EVM) ব্যবহার করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে৷ তারপর প্রায় ২ দশক কেটে গেলেও প্রতিটি ভোটেই ইভিএম নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে৷ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনেও তা বাদ গেল না৷ খারাপ ইভিএম-এর জেরে ভোটগ্রহণের মূল্যবান সময় নষ্ট হল বলে অভিযোগ উঠল।
কখনও ইভিএম মেশিন আসতে দেরী হওয়ার অভিযোগ, কখনও বা ভোট গ্রহণের আগে অজানা জায়গা থেকে ইভিএম মেশিন ঘুরিয়ে আনার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। কংগ্রেসের জাতীয় সম্পাদক গোবিন্দ রাজপুতের অভিযোগ, ‘মধ্যপ্রদেশের সগর জেলায় ইভিএম মেশিন নিয়ে আসার আগে সেগুলি একটি হোটেলে রাখা হয়েছিল। যার মালিক মধ্যপ্রদেশের পরিবহন মন্ত্রী ভূপেন্দ্র সিং। যিনি খুরাই আসনে বিজেপি প্রার্থীও’।
কংগ্রেসের আরও অভিযোগ, স্ট্রংরুম থেকে যে হলুদ বাসে ইভিএম মেশিনগুলি খুরাই-তে আনা হয়েছিল সেই বাসের কোনও রেজিস্ট্রেশন নম্বর নেই। আবার অনেক জায়গায় ইভিএম মেশিন পাল্টানোর পরেও ইভিএম-এ যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে৷ অতঃপর, আবার পাল্টানো৷
কংগ্রেসের অভিযোগ, যে সব জায়গায় সংগঠন মজবুত, সেই সব জায়গায় বেশি করে ইভিএম গোলযোগ হয়েছে৷ তাই তাদের দাবি, সেই সব কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করুক কমিশন৷ রাজ্যের মুখ্য ইলেক্টোরাল অফিসার ভিএল কান্ত রাও, গোটা ঘটনার রিপোর্ট পাঠিয়েছেন কালেক্টরের দফতরে।
বিরোধীদের অভিযোগ, মধ্যপ্রদেশে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া প্রবল। বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাগুলিও এই রাজ্যে বিজেপির হারের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নিজেদের ক্ষমতা ধরে রাখতে তাই বাঁকা পথ নিয়েছে বিজেপি।