তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত কয়েক বছরে কৃষি ও শিল্প উভয় ক্ষেত্রেই এগিয়েছে বাংলা। উন্নয়নের পথ ধরেই সিমেন্ট ক্ষেত্রে আগামী কয়েক বছরে তিন হাজার কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ আসছে। যা রাজ্যে শিল্পায়নের গতিকে আরও খানিকটা ত্বরাণ্বিত করবে। জেএসডব্লিউ সিমেন্ট, স্টার সিমেন্ট এবং ডালমিয়া সিমেন্ট ভারত সম্মিলিত ভাবে এই অর্থাঙ্ক পশ্চিমবঙ্গে লগ্নি করবে বলে জানিয়েছে। শুক্রবার কলকাতায় বণিকসভা আইসিসি আয়োজিত ‘সিমেন্টিং ইন্ডিয়া’ অনুষ্ঠানে একথা জানান খোদ রাজ্যের শিল্পবাণিজ্য ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
তিনি জানিয়েছেন, শালবনিতে জেএসডব্লিউ সিমেন্ট ও গোদাপিয়াশালে ডালমিয়া সিমেন্ট তাদের কারখানার উৎপাদনক্ষমতা বাড়াচ্ছে। অন্য দিকে, উত্তরবঙ্গে একটি সম্পূর্ণ নতুন সিমেন্ট কারখানা গড়ে তুলবে স্টার সিমেন্ট। পাশাপাশি, তিনি সমস্ত সিমেন্ট নির্মাতা সংস্থাকে বাংলায় ক্লিংকার প্ল্যান্ট-সহ সুসংহত সিমেন্ট ইউনিট গড়ে তোলার আর্জি জানিয়েছেন।
অমিত মিত্র বলেন, ‘রাজ্যে সমস্ত সিমেন্ট কারখানা আসলে গ্রাইন্ডিং প্ল্যান্ট। আমাদের সুসংহত সিমেন্ট কারখানা প্রয়োজন। আমি যত দূর জানি, এ ধরনের কারখানা গড়ে তুলতে আড়াই হাজার কোটি টাকার মতো লগ্নি দরকার হয়।’
ডালমিয়া সিমেন্ট-এর এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (নিউ বিল্ডিং সলিউশনস) সুজিত ঘোষ বলেন, ‘বর্তমানে উত্তর ভারতে বহু কর্মযজ্ঞ হচ্ছে। সেই কারণে শালবনির কাছে গোদাপিয়াশালে আমাদের কারখানার উৎপাদনক্ষমতা ১৭ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ টনে নিয়ে যেতে আমরা প্রায় এক হাজার কোটি বিনিয়োগ করব। পাশাপাশি আমরা উত্তরবঙ্গে একটা নয়া কারখানা গড়ার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছি।’
স্টার সিমেন্ট-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জয় আগরওয়াল জানান, উত্তরবঙ্গে তাঁরা বছরে ২০ লক্ষ টন উৎপাদনক্ষমতাসম্পন্ন একটি নতুন সিমেন্ট কারখানা গড়ে তুলবে। এতে সংস্থাটি ৪০০ কোটি টাকার মতো লগ্নি করবে। আগামী ২০২০ সালের মার্চের মধ্যে কারখানার উৎপাদন চালু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘জলপাইগুড়িতে কারখানাটি গড়ে তোলার জন্য আমরা ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় জমি কিনেছি। কারখানার জন্য ক্লিংকার আমরা মেঘালয় থেকে নিয়ে আসব।’
সূত্রের খবর, আগামী দু’বছরে জেএসডব্লিউ সিমেন্টও তাদের শালবনির কারখানার উৎপাদনক্ষমতা বছরে ২৪ লক্ষ টন থেকে বাড়িয়ে ৪৮ লক্ষ টন করার পরিকল্পনা করেছে। এর জন্য তারা প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে।