ভোট কৌশলী হিসাবে যে আর করবেন না, চলতি বছরে বাংলা-সহ পাঁচ রাজ্যের ভোটের ফলাফলের দিনই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন তিনি। তাই উত্তরপ্রদেশ-সহ পাঁচ রাজ্যের আসন্ন নির্বাচনে কোনও ভূমিকাতেই দেখা যাবে না ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। আপাতত রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়েই রাখছেন ভোটকুশলী। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের দাবি, আগামী বছর মার্চ মাস পর্যন্ত কোনওরকম রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না পিকে। যার অর্থ আপাতত তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনাতেও ইতি।
প্রশান্তের ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, ‘আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলের ভিতর থেকে বা বাইরে থেকে কোনও ভূমিকাই নেবেন না প্রশান্ত কিশোর। আগে তিনি যা (ভোটে বিভিন্ন দলকে পরামর্শ দেওয়া) করছিলেন, তা থেকে তিনি অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে, এরপর তিনি কী করবেন, সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।’ যার অর্থ, অদূর ভবিষ্যতে অন্তত কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই প্রশান্ত কিশোরের।
এরাজ্যের নির্বাচনে তৃণমূলের বিরাট সাফল্যের পরই কেন্দ্রীয় স্তরে বিজেপি বিরোধী জোট গঠনে উদ্যোগী হয়েছিলেন পিকে। কখনও শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা, কখনও কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে দেখা আবার কখনও বিরোধী নেতাদের একমঞ্চে ডেকে আলোচনা— জুন-জুলাই মাসে বেশ সক্রিয় দেখাচ্ছিল তাঁকে। জুনের শেষের দিকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের পরই শোনা যায়, এবার সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। কংগ্রেসে যোগদানের ব্যাপারে পাকা কথাও নাকি বলে ফেলেছিলেন পিকে।
শোনা যাচ্ছিল আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন থেকেই কংগ্রেসের হয়ে কাজ করবেন পিকে। এরপরই পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের মুখ্য উপদেষ্টার কাজ ছাড়েন তিনি। ঘোষণা করেন, সবকিছু থেকে সাময়িক বিরতি নিচ্ছেন। এর মধ্যে আবার পিকে-কে দলে নেওয়া নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরে বিবাদ শুরু হয়। অনেক নেতাই প্রশান্তকে দলে নেওয়ার বিপক্ষে মত দেন। সেসব নিয়ে আলোচনার মধ্যেই প্রশান্তের ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি নিজের বিরতির মেয়াদ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছেন।