একুশের ভোটযুদ্ধে ভরাডুবির পর থেকেই গেরুয়া শিবিরের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠীকোন্দল, দোষারোপের পালা। নিত্যদিন ভাঙনও ধরছে দলে৷ দিকে দিকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। এর জেরে উত্তরবঙ্গে শক্তি কমতে পারে পদ্মশিবিরের, রাজনৈতিক মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনই গুঞ্জন। তারই মাঝে উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়কদের বৈঠকের আমন্ত্রণ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। আর তার ফলে বৈঠকে যোগ দিলেন না দিলীপ ঘোষ এবং শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, উত্তরবঙ্গের বিজেপি বিধায়করা একটি বৈঠক করেন। তবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে আগে থেকে বৈঠকের কথা জানানো হয়নি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী যদিও বৈঠকের কথা জানতেন। কিন্তু সঠিকভাবে তাঁকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। শুভেন্দু অধিকারী জানান, এই বৈঠক যে হবে, সে কথা তাঁকে মনোজ টিগ্গা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৈঠকে থাকার আমন্ত্রণ জানাননি। এরপরেই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেন অমিতাভ চক্রবর্তী। মনোজ টিগ্গার কাছে ব্যাখ্যা চান। কারণ বিধানসভায় দলের মুখ্য সচেতক মনোজই উত্তরবঙ্গের এই বৈঠকের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন।
বিজেপি সূত্রে খবর, অমিতাভ ব্যাখ্যা চাইতেই মনোজ ভুল স্বীকার করেন। এরকম ভুল আর কখনও হবে না বলেও জানান মনোজ টিগ্গা। যদিও এরপর আর বিষয়টি নিয়ে কথা এগোয়নি। সূত্রের খবর, এই বৈঠকের কথা বেশ কয়েকজন বিধায়কের কাছেও সময়মতো পৌঁছয়নি। মালদার বিজেপি বিধায়ক গোপাল সাহাও আমন্ত্রণ পাননি বলেই শোনা যাচ্ছে। এদিকে, কেন দলীয় নেতৃত্বকে ঠিকমতো বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হল না, তা নিয়ে চলছে জল্পনা। তবে কি ক্রমশই স্পষ্ট হচ্ছে বিজেপির অন্দরের ফাটল, সে প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ।