কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঝাঁঝ কমছে। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ছে। গত দুদিন ধরে ভোরের দিক আকাশ মেঘলা, বেলা গড়ালেই ঝাঁ ঝাঁ রোদে নাকাল হচ্ছে শহরবাসী। আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, দক্ষিণবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। উত্তরে পাহাড়ি জেলাগুলিতে আরও কিছুদিন এক নাগাড়ে বৃষ্টি চলবে।
একটানা বৃষ্টিতে জেরবার হলেও প্যাচপ্যাচে গরম থেকে রেহাই মিলেছিল। এখন আবার রোদ-গরমে ঘাম ছুটছে। কলকাতায় সকালের দিকে আকাশ মেঘলা থাকলেও, এখন আবার রোদের তেজ বেড়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণও বেশি। তাই আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও আছে। সকালের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সর্বোচ্চ আবার ৩৫ ডিগ্রিতে উঠে গেছে।
নিম্নচাপ এখন সরে ছত্রিশগড়ে অবস্থান করছে। বৃষ্টি অক্ষরেখা কোটা থেকে ভোপাল থেকে ছত্রিশগড়ে অবধি বিস্তৃত হয়েছে। অন্য একটি অক্ষরেখা কর্নাটক থেকে কেরল পর্যন্ত বিস্তৃত। এর জেরে আগামী কয়েকদিন বৃষ্টি বাড়বে মধ্যভারত ও দক্ষিণ ভারতে। গুজরাটের সৌরাষ্ট্র, কচ্ছ ও রাজস্থানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, চন্ডীগড়, দিল্লীতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টি বাড়তে পারে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির যেমন ওড়িশা এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, মেঘালয়ে।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, মৌসুমী অক্ষরেখা রায়পুর ও গোপালপুর হয়ে বঙ্গোপসাগর অবধি বিস্তৃত। এর জেরে দখিনা বাতাসে ভর করে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে রাজ্যে। তাই মাঝে মাঝেই বর্জ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। কলকাতা সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। তবে উত্তরে এখনই বৃষ্টির দাপট কমছে না। পাহাড়ি জেলাগুলিতে আরও কিছুদিন ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস জারি হয়েছে। শুক্রবার উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।