শিক্ষিকাদের বিক্ষোভে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠেছিল বিকাশ ভবন চত্বর। প্রকাশ্যে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ৪ শিক্ষিকা। তাঁদের অভিযোগ ছিল, অনৈতিকভাবে দূরে বদলি করা হচ্ছে শিক্ষিকাদের। এছাড়া একাধিক দাবিও ছিল তাঁদের। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বুধবার ফেসবুকে মন্ত্রী তুলে ধরলেন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য রাজ্য সরকার কী কী করেছে। বিঁধলেন আন্দোলনকারীদেরও।
ফেসবুকে ব্রাত্য লিখেছেন, ‘বাম সরকারের আমলে পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন বিভাগের অধীনে এসএসকে এবং এমএসকে-র সহায়ক/সহায়িকা, সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকারা নামমাত্র সাম্মানিকের বিনিময়ে কাজ করতেন। কাজের নিশ্চয়তা, আর্থিক নিরাপত্তা এবং অবসরকালীন সুযোগসুবিধা বলে কিছু ছিল না। কিন্তু মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূল সরকার ১ ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে এসএসকে এবং এমএসকে-গুলিকে বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগের অধীনে এনে একটি সুসংবদ্ধ রূপ দেয়’।
পাসাপাশি ব্রাত্য আরও জানিয়েছেন, ‘সহায়ক সহায়িকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে মাসিক ১০,৩৪০ টাকা এবং সম্প্রসারক/সম্প্রসারিকাদের সাম্মানিক বাড়িয়ে ১৩,৩৯০ টাকা করা হয়। এ ছাড়াও বাৎসরিক ৩% বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্ট চালু করা হয়েছে। প্রত্যেককে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে নিয়ে আসা হয়েছে।
এই বিবরণ তুলে ধরার পরই আন্দোলনকারী শিক্ষিকাদের তুলোধোনা করলেন ব্রাত্য বসু। তাঁর কথায়, ‘এরপরও যারা আন্দোলন করছেন, তারা শিক্ষক-শিক্ষিকা নন, বিজেপির ক্যাডার’। উল্লেখ্য, চাকরির স্থায়ীকরণ-সহ একাধিক দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কখনও মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে তো কখনও নবান্নে আবার কখনও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সামনে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। গ্রেফতারও হয়েছেন। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।