সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি ক্ষেত্রকে কাজে লাগাতে দিয়ে চার বছরে ৬ লক্ষ কোটি টাকা ঘরে তোলার পরিকল্পনা গত কালই ঘোষণা করেছে মোদী সরকার। কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি আজ এর বিরোধিতা করেছে সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস-ও। বিরোধীরা মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ঘুরপথে সরকারি সম্পত্তি বেচে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে। বিএমএস সাধারণ সম্পাদক বিনয় কুমার সিনহারও মন্তব্য, ‘এ তো ঘরের গয়নাগাঁটি বেচে দেওয়া।’
পেগাসাস, কৃষি আইন, পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক, বিমা ও অন্যান্য সংস্থার বেসরকারিকরণের মতো এ বিষয়েও বিরোধী দলগুলি এককাট্টা হয়ে প্রতিবাদে মাঠে নামতে চাইছে। দিল্লিতে রাহুল গাঁধী, কলকাতায় তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায় স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন, এ বিষয়ে বিরোধী দলগুলি নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে এগোবে। সূত্রের খবর, সনিয়া গান্ধীর ডাকে বিরোধী দলগুলির বৈঠকে সেপ্টেম্বরের শেষে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই সময়ে সরকারি সম্পত্তি বেসরকারি ক্ষেত্রের হাতে তুলে দেওয়ারও প্রতিবাদ হবে।
রাহুল গান্ধীও অভিযোগ করেছেন, যে সব সম্পদ নিয়ে দেশের হাতে গোনা কিছু শিল্পপতিই আগ্রহী, জাতীয় সড়ক, রেল, বিমানবন্দর, জাহাজ বন্দর, তেল ও গ্যাসের পাইপলাইন, টেলিযোগাযোগের ফাইবার নেটওয়ার্ক, মোবাইল টাওয়ারের মতো তেমন সম্পদই বেছে বেছে ব্যবসায়িক কাজে লাগানোর জন্য বেসরকারি ক্ষেত্রকে দেওয়া হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘সম্পত্তির তালিকা পড়লেই বোঝা যায়, দেশের কী কী প্রধানমন্ত্রী তাঁর বন্ধুদের বেচছেন। আমার বলারও দরকার নেই, কোন সম্পত্তি কার হাতে যাবে, কাদের জন্য কোন সম্পদ বাছাই করা হয়েছে আর কী ভাবে বিনামূল্যে এই উপহার দেওয়া হচ্ছে’।