‘বাংলা নিজের মেয়েকে চায়’— বাংলায় ‘বহিরাগত’দের রুখতে এই স্লোগানকে সামনে রেখেই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নেমেছিল তৃণমূল। ভোটবাক্সেও গোটা বাংলার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা নিজের মেয়েকেই চান। এবার রাখীতেও জায়গা করে নিল ‘বাংলার নিজের মেয়ে’র ছবি। হ্যাঁ, রাখীর বাজারেও কলকাতার দিদিবোনেরা ‘বাংলার মেয়ে’কেই বেছে নিচ্ছেন। শুক্রবার সন্ধেয় বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, দিনভর লড়াইয়ে এগিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
প্রসঙ্গত, ইদানিং প্রায় সব ধর্মীয় অনুষ্ঠানেই রাজনৈতিক দ্বৈরথ লক্ষ করা যাচ্ছে। এবার রাখীকেও রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার মোক্ষম অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে যুযুধান দুই দল। তাই বাজারে পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে সবুজ আর গেরুয়া রঙের রাখি। বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি দেওয়া সবুজ সুতোর রাখীর চাহিদা তুলনায় বেশি। পাশাপাশি ঢালাও বিক্রি হচ্ছে তৃণমূলের প্রতীক জোড়াফুল দেওয়া রাখীও।
চাঁদনী চকে প্রচুর রাখীর দোকান পসরা সাজিয়ে বসে প্রতিবছর। সেখানে তৃণমূলের প্রতীক ঘাসফুল ও বিজেপির পদ্মফুলের ছবি দেওয়া রাখী বিক্রি হচ্ছে। সেইসঙ্গে মিলছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ বসানো রাখী। দাম একই। ছ’টি রাখির এক প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা। রাখী বিক্রেতারা বলছেন, করোনা পরিস্থিতিতে বাজার একটু মন্দা। তবে রাজনীতির দড়ি টানাটানি সেই খামতি কিছুটা পুষিয়ে দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ বসানো গুচ্ছ গুচ্ছ রাখী কিনে নিয়ে যাচ্ছেন দলের ছোট-মাঝারি নেতারা। পদ্মফুলের থেকে বিক্রি বেশি ঘাসফুল ও মমতা রাখীর।