ফের বিতর্কে কেন্দ্রে বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর ইসি (পরিচালন সমিতি) বৈঠকে অংশগ্রহণ করলেন না, বিশ্ববিদ্য়ালয়ের আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মনোনীত সদস্য দুলালচন্দ্র ঘোষ। তিনি জানাচ্ছেন, বিশ্বভারতীর এই ইসি বৈঠক ঘিরে অনেক অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি তাঁর নজরে এসেছে। তিনি এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দফতর এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) ইমেল মারফত কারণ সমস্ত কিছু জানিয়েছেন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার এমন অভিযোগ তুললেন দুলাল।
শনিবার দুলাল জানান, গত ১১ই আগস্ট বিশ্বভারতীর রেজিস্ট্রারের তরফে অনেক রাতে একটি ইমেল করে তাঁকে বলা হয় ইসি বৈঠক হবে ১৪ই আগস্ট বেলা ১১টায়। উল্লেখ করা হয়, বৈঠকে ৫-৬টি আলোচ্য বিষয় থাকবে। কিন্তু সেই তালিকা জানানো হয়নি। দুলাল বলেন, “আগের বৈঠকের প্রেক্ষিতে ‘অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট’ সংক্রান্ত কোনো তথ্য না দিয়ে বৈঠক ডাকা হয়।”
পাশাপাশি, দুলালের অভিযোগ, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বৈঠক করে একতরফা সিদ্ধান্ত নেন। কোনও অধ্যাপক বা পড়ুয়াকে হঠাৎ সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “উপাচার্যের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা যায় না। আসলে বৈঠকে কাউকে কোনও কিছু মতামত রাখতেই দেওয়া হয় না। এ ছাড়া দেশ থেকে এখনও করোনা পালিয়ে যায়নি। তবুও ছোটো ঘরের মধ্য বৈঠক করা হয় কোভিড প্রটোকল ভেঙে। বাকি ইসি মেম্বার হয়ত এ বৈঠক আছেন তবে বিশ্বভারতীর অন্দরের নির্বাচিত সদস্যরা উপচার্য ভয়ে কিছু বলতে পারেন না। সম্পূর্ণ বিষয়টি ইমেল মারফত আচার্য তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দফতর এবং ইউজিসি-কে জানিয়েছি।”