শনিবার সাতসকালেই তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল হাইতি। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭.২। আমেরিকার জিয়োলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, কম্পনের উৎসস্থল ছিল রাজধানী পোর্ত-অউ-প্রিন্স থেকে ১৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে, ভূগর্ভের ১০ কিলোমিটার গভীরে। মৃত্যু হয়েছে তিনশোরও বেশি মানুষের। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এই বিপর্যয়ের পর দেশ জুড়ে জরুরী অবস্থা ঘোষণা করেছে হাইতি সরকার।
এপ্রসঙ্গে উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, ভেঙে পড়া বহু বাড়ির নীচে অনেকে আটকে রয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের চিহ্নিত করে দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল। স্কুল থেকে হাসপাতাল, তছনছ হয়ে গিয়েছে সব কিছুই। কম্পনের উৎসস্থলের খুব কাছাকাছি থাকায় এই অঞ্চলে ক্ষয়ক্ষতি এবং প্রাণহানির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বলে প্রশাসন সূত্রে খবর।
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানান, “হাইতির ভয়াবহতা দেখে শিউরে উঠছি। সে দেশের মানুষের কাছে এটা কঠিন সময়। হাইতিকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আমেরিকা।” উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ভূমিকম্পের ভয়াবহতা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারেনি হাইতি। সে বার রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৭। সে বার প্রাণ হারান কমপক্ষে আড়াই লক্ষ মানুষ।