দেশে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ এখন আগের তুলনায় অনেকটাই স্তিমিত। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়া এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র। যে কারণে সমস্ত বিশেষজ্ঞরাই প্রায় রোজ পইপই করে বলছেন, সেপ্টেম্বরের গোড়া থেকেই পরিস্থিতি ভয়ানক হতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেই বিজেপির ডাকে ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হতে চলেছে জনআশীর্বাদ যাত্রা। এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে বিরোধীরা। তারা একে আরও একটা সুপার স্প্রেডার কর্মসূচী আখ্যা দিয়ে বলছেন, বিজেপি, আরএসএস এবং মোদী সরকার ভুয়ো তথ্য ছড়াতে ১৬ আগস্ট থেকে যাত্রা শুরু করছে। যে যাত্রা ২২টি রাজ্যের ২০ হাজার কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে। অনুষ্ঠিত হবে ১৬০০ জনসভা। বিরোধীদের অভিযোগ, এভাবে নতুন মিউট্যান্ট এবং তৃতীয় ঢেউকে নেমন্তন্ন করা হচ্ছে। সরকার উপনির্বাচনে অনুমতি দিচ্ছে না অথচ এই কর্মসূচীতে ছাড় দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ করেছেন মোদী। ৩৯ জন নতুন মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কেউ প্রতিমন্ত্রী কেউ আবার পূর্ণমন্ত্রী। বাংলারও চারজন ঠাঁই পেয়েছেন মোদী মন্ত্রিসভায়। তাঁরা হলেন, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা এবং নিশীথ প্রামাণিক। বিজেপি কর্মসূচী নিয়েছে, এই নতুন মন্ত্রীদের নিয়ে দেশজুড়ে পরিচয় পর্ব সারবে তারা। দেশের ২৬৫টি জেলার ২১২টি লোকসভা কেন্দ্রে ঘুরবে এই যাত্রা। দেশঘুরে মানুষের আশীর্বাদ নেবেন নতুন মন্ত্রীরা। এই কারণেই বিরোধী নেতারা বিজেপির তীব্র সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বলেছেন, ‘বিজেপি কোভিডের অজুহাতে বিরোধীদের কর্মসূচী আটকে রেখেছে। অথচ নিজেরা কর্মসূচী নিচ্ছে। এই যাত্রা আসলে ভাইরাস ছড়ানোর কর্মসূচী।’ সেইসঙ্গে স্বাস্থ্যমহলও বিষয়টিকে ভাল ভাবেও দেখছে না।