মঙ্গলবার রাতে পাণ্ডবেশ্বরের একটি মাঠের পাশ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার হল তৃণমূল কর্মীর দেহ। মৃতের নাম দিলীপ তুরি (২৬)। পাণ্ডবেশ্বরেরই বাসিন্দা। এই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে দৌড়ে যান স্থানীয় বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনায় জড়িত। তারাই ওই সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে খুন করেছে।
পন্থনগরের কাছে একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন ওই তৃণমূল কর্মী। মঙ্গলবার রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হচ্ছিল তাঁর। তার ফলে সকলেই দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। দীর্ঘক্ষণ ধরে বাড়ি না ফেরায় তাঁর বাড়ির লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। তারপর তাঁরা জানতে পারেন, পন্থানগর নগর ফুটবল মাঠের পাশে রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে দিলীপের। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যান পরিজনেরা। খবর দেওয়া হয় পাণ্ডবেশ্বর থানার পুলিশকে। খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলে যান পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
স্থানীয়দের দাবি, নিহত দিলীপ খুব ভাল মানুষ। তার যে কারও সঙ্গে শত্রুতা থাকতে পারে, তা মানতেই পারছেন না স্থানীয়রা। তাই কারা একাজ করল তা কিছুই বুঝতে পারছেন না দিলীপের পরিচিতরা। তবে পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এই ঘটনাটিকে রাজনৈতিক কারণে খুন বলেই দাবি করছেন। তিনি বলেন, ‘এবার ভোটের সময়ে দলের হয়ে খুব খেটেছিল। ফের এলাকায় অশান্তি সৃষ্টির চক্রান্ত করা হচ্ছে। পুলিশকে ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির অনুরোধ করব। এলাকার মানুষ শান্তি বিনষ্টকারিদের উপযুক্ত জবাব দেবে’। তৃণমূল কর্মীর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাসও দেন বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।