রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের মতো বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি হাতছাড়া হতে পারে মোদী-শাহের। সঙ্গে তেলেঙ্গানা দখল করার পাশাপাশি মিজোরামে কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে বলেই জানাচ্ছে সমীক্ষাগুলি। সব মিলিয়ে লোকসভা ভোটের আগে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের সেমিফাইনালে বিজেপির হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা প্রবল। ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের মতে, ফলাফল হবে ৫-০, বড়জোর ৪-১।
এমনিতে ছত্তিশগড় ও মধ্যপ্রদেশে কৃষকদের দুর্দশা এবার সবচেয়ে বড় নির্বাচনী ইস্যু। এর সঙ্গে ছত্তিশগড়ে রেশন ব্যবস্থায় দুর্নীতি (১ টাকা কিলো দরে চাল দেওয়ায়) ও চিটফান্ড – দুটি আরও বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সঙ্গে আছে ১৫ বছরের প্রতিষ্ঠান–বিরোধী হাওয়া। অজিত যোগী ও মায়াবতীর জোট মূলত দলিত ও তপসিলি জাতি–উপজাতি প্রভাবিত কেন্দ্রগুলিতে ভোট পাবে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই আসনগুলি রয়েছে বিজেপি–র হাতে। ফলে, আখেরে লাভ কংগ্রেসের।
বিজেপি সূত্রের খবর, অমিত শাহ, অরুণ জেটলি ও মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানদের মতো হেভিওয়েট নেতাদের জনসভায় আশানুরূপ সাড়া মিলছে না। এমনকী, প্রধানমন্ত্রী মোদির সভাতেও আগের মতো উপচে–পড়া ভিড় নেই। তাছাড়া প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। রাজনন্দাগাঁও কেন্দ্রে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রমণ সিংয়ের কপালে ভাঁজ ফেলেছেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ভাইঝি ৬৮ বছরের করুণা শুক্লা। তিনিই এবার কংগ্রেস প্রার্থী। আগে বিজেপি–তেই ছিলেন করুণা। পরে দলে ‘ক্ষমতার লড়াই’–এর অভিযোগ তুলে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।
মধ্যপ্রদেশের শিবরাজ সিং চৌহানের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের প্রার্থী পোড়খাওয়া নেতা অরুণ যাদব। মনমোহন সিং সরকারে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এ রাজ্যে কংগ্রেস জিতলে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন ঘরের ছেলে কমল নাথ। তিনি ঘুঁটি সাজাচ্ছেন নিজের মতো করে। রাজ্যে কৃষিঋণ মকুব বড় ইস্যু। প্রচার, কেন্দ্রে ক্ষমতায় এসে কৃষিঋণ মকুব করবে কংগ্রেস। তলে তলে এই প্রচারে বিজেপি–বিরোধী হাওয়া জোর পাচ্ছে। তাছাড়া মোদি সরকার এসসি–এসটি আইন সংশোধন করে দলিত–পীড়নে অভিযুক্তদের প্রথমেই গ্রেপ্তার করার বিধি ফিরিয়ে আনায় বেজায় চটেছেন উচ্চবর্ণের মানুষেরা। আর রাজস্থানে জেতার আশা বিজেপিও করছে না।