আবারও গোটা দেশের মধ্যে ১ নম্বর বাংলাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর থেকে বাংলা এখন প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রথম। কোনও অঞ্চলের বিশেষ পণ্য বা দ্রব্যের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার ক্ষেত্রে এবার দেশের মধ্যে শীর্ষস্থানে উঠে এল রাজ্য। দেশের যে ক’টি দ্রব্য বা পণ্যকে জিআই বা ‘জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশনস’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি জিআই পেয়েছে বাংলাই।
গত আর্থিক বছরে মোট ৯ দ্রব্যে জিআই পেয়েছে বাংলা। এই সংখ্যার ধারেকাছেও কেউ নেই। বাংলার পর জায়গা করে নিয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ। তাদের জিআই স্বীকৃতির সংখ্যা মাত্র ৪। যা এ রাজ্যের অর্ধেকেরও কম।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও উৎকৃষ্ট মানের আঞ্চলিক দ্রব্য বা পণ্য যদি সেই এলাকার নিজস্ব দ্রব্য হয়, তাহলে তা জিআই তকমা পেতে পারে। কোনো দ্রব্য বা পণ্যের জিআই স্বীকৃতি পাওয়ার মূল লক্ষ্য বিদেশের বাজার ধরা। সেই লক্ষ্যেই বিভিন্ন রাজ্য তাদের বিশেষ বিশেষ পণ্যের জন্য জিআই তকমা পেতে লড়াই করে। সেই পণ্য বা দ্রব্যের তালিকায় যেমন থাকতে পারে কৃষিজ ফলন, তেমনই থাকতে পারে কৃষিজাত পণ্য। এর পাশাপাশি হস্তশিল্পও জিআই পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ একটি পণ্য।
জিআই পাওয়ার ক্ষেত্রে গত বছর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছিল রসগোল্লাকে নিয়ে। বাংলার নিজস্ব মিষ্টি হিসেবে রসগোল্লার জিআই দাবি করতেই প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা জানায়, তা ওড়িশার সম্পদ। অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর রসগোল্লায় জিআই’য়ের মুকুট ওঠে বাংলার মাথাতেই। পাশাপাশি এই তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমণ্ডির কাঠের মুখোশ, পুরুলিয়ার ছৌ মুখোশ, বাঁকুড়ার টেরাকোটা-সহ মোট ৮ জিনিস।