রাজ্যের কাঁধে বিপুল কেন্দ্রীয় ঋণের বোঝা এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্পে রাজ্যের খরচ জোগানোর মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ সামলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ওপরেই গত দশ বছর পূর্ণ আস্থা রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই ভোটে জিতে এসে মন্ত্রী হোন বা না হোন, অর্থ দফতরে অমিত মিত্রকে ‘ধরে রাখতে’ দৃঢপ্রতিজ্ঞ মমতা। অমিতকে ছাড়া হবে না, এটাই তাঁর সিদ্ধান্ত। অন্য দিকে, অমিত মিত্র আজ বলেছেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, আমি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে চলেছি।’ সূত্রের বক্তব্য, তিনি বাজেট তৈরি তো করেছেনই, বাজেট পরবর্তী সময়ে দফতরের যা যা করনীয়, নিরন্তর তা করে চলেছেন। জিএসটি কাউন্সিলেও অমিত মিত্রের ভূমিকা আগামী দিনে দেখা যাবে।
নভেম্বরে ছ’মাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অমিতবাবু শারীরিক কারণে দফতর থেকে বিদায় নিতে চান— এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর মুখ্যমন্ত্রীর তরফে তাঁকে ‘না ছাড়ার’ এই মনোভাবের কথা জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ঘনিষ্ঠ শিবিরে জানিয়েছেন, কীভাবে অমিতবাবুকে অর্থ দফতরের সঙ্গে যুক্ত রাখা যায়, তার সব দিক যথাসময়ে খতিয়ে দেখবেন তিনি। প্রশ্ন উঠছে, মন্ত্রী না থাকলেও, অর্থ দফতরে কীভাবে যুক্ত থাকবেন অমিতবাবু? ভবিষ্যতে অর্থ দফতরের উপদেষ্টা বা পরামর্শদাতা হিসেবে কি তাঁকে দেখা যেতে পারে? নবান্ন সূত্রে ইঙ্গিত, অমিত কীভাবে সংযুক্ত থাকবেন— সেই নাম বা পদ এই মুহূর্তে জরুরি নয়। আসল কথা হল, অমিতের প্রয়োজনীয়তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অপরিহার্য।