সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করে সদ্যই ‘ধর্ম’-এর পথে এসেছে সিপিএম। এবার কাজেকম্মেও বিজেপির পথই অবলম্বন করছে তারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ফেক ছবি’ পোস্ট করে পুলিশি ব্যবস্থার মুখে পড়তে হতে পারে সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সদস্য তথা সিআইটিইউ নেতা গৌতম রায়কে। অর্থাৎ এতদিন যে অভিযোগ উঠত বিজেপি-র বিরুদ্ধে, এ বার সেই একই ‘কম্ম’ করলেন বিপাকে সিপিএম নেতা।
সোমবার বিকেলে ধর্মতলায় লেনিন মূর্তির পাদদেশে জমায়েত করার কর্মসূচি নিয়েছিল বামেদের পার্শ্বশিক্ষক সংগঠন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্ধের পর থেকেই প্রচার শুরু হয় বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। লাল টিশার্ট পরা ১ যুবকের রক্তাক্ত ছবি দিয়ে লেখা হয়, ‘পুলিশের নির্মম লাঠিচার্জ’। ছবিটি পোস্ট করা মাত্রই বাম কর্মীরা হইহই করে নেমে পড়েন শেয়ার এবং পোস্ট করতে। যত সময় এগোয়, ততোই বাড়ে শেয়ার। একইসঙ্গে চলতে থাকে সরকারের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও অশ্লীল মন্তব্য। তবে কলকাতা পুলিশ বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয় পুরোটাই ফেক। ওই ছবি এবং খবরে কোনও সত্যতা নেই।
কলকাতা পুলিশের পেজে লেখা হয়, এই ধরনের কোনও ঘটনাই ঘটেনি। এবং এ-ও স্পষ্ট করা হয় জনৈক গৌতম রায়ের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পার্শ্বশিক্ষকদের কর্মসূচি ছিল। তাঁরা আগাম পুলিশকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও বিক্ষোভ দেখানো বা রাস্তা অবরোধের কর্মসূচি ছিল না। পুলিশ জানিয়েছে হঠাৎই তাঁরা রাস্তা অবরোধ করতে যান। তখন স্বাভাবিকভাবেই বাধা দেয় পুলিশ। তবে কলকাতা পুলিশের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, গ্রেফতারের সময় সামান্য ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। যা প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক বিক্ষোভেই হয়ে থাকে।
পুরো ঘটনায় বিড়ম্বনায় পড়েছে আলিমুদ্দিন। বিপাকে পড়ে সিপিএমের রাজ্য কমিটির ১ নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘এরা চার আনাও জানে না, কিন্তু প্রচার করতে যায় বারো আনার। ফলে এক আনাও উপকার না হয়ে, ষোলআনাই ক্ষতি হয়ে যায় দলের।’ এই কথা থেকেই স্পষ্ট, দলের ‘চার আনাও’ না জানা নেতা-নেত্রী ও কর্মীদের কার্যকলাপে কার্যত দিশেহারা সিপিএম। এমনিতেই বিজেপির সঙ্গে জোট নিয়ে খোঁচা তো রয়েছেই, তার উপর এই ‘ফেক ছবি’ ইস্যু আরও চিন্তা বাড়িয়েছে দলের।