তবে কি কাস্তে-হাতুড়ি ফেলে, পাকাপাকিভাবে হাতে পদ্মই তুলে নিল সিপিএম! কারণ আবারও নীতি, আদর্শ আর ‘পার্টি লাইন’কে জলাঞ্জলি দিয়ে ‘সাম্প্রদায়িক’ বিজেপিকে সঙ্গে নিয়েই পঞ্চায়েত দখল করল সিপিএম। ঘটনাটি বাঁকুড়ার সিমলাপালের পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১২ আসনের এই গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিএম ও তৃণমূল ৫টি করে আসন পায়।বিজেপি জয়ী হয় ২ আসনে। সোমবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের দিন নির্ধারণ করেছিল জেলা প্রশাসন। ঘোষণা মতো গতকাল ভোটাভুটির সময় দেখা যায় সিপিএম-বিজেপি এক সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ভোটাভুটিতে জয়ী হয় বাম-রাম জুটি। প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন সিপিএমের সুপর্ণা দুলে ও উপপ্রধান বিজেপির লালমোহন মাহাতো।
বাম-রাম মিলে বোর্ড গঠনের ঘটনায় জেলা রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমনকি উত্তেজনা ছড়ায় এলাকাতেও৷ জানা গেছে, বোর্ড গঠনের পর বাম-রাম নিজেদের শক্তি প্রদর্শনের জন্য চড়াও হয় তৃণমূলের সদস্যদের ওপর। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, তাদের এক মহিলা পঞ্চায়েত সদস্যের শাড়ি ছিঁড়ে ফেলেছে সিপিএম-বিজেপির দুই পঞ্চায়েত সদস্যা। ঐ দুই অভিযুক্তের নামে সিমলাপাল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজেপির সঙ্গে জোট করে পঞ্চায়েত দখল করায় ইতিমধ্যেই বিড়ম্বনায় পড়েছে সিপিএম। সাম্প্রদায়িক বিজেপির সঙ্গে জোট করার ফলে তাদেরও সাম্প্রদায়িক বলে কটাক্ষ করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ।
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন,বিজেপি ও সিপিএম যে বাংলার উন্নয়ন স্তব্ধ করতে তলায় তলায় আঁতাত করেছে তা আমরা বারবারই বলে এসেছি। এই খটনায় তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট হয়ে গেল। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূলের সভাপতি রামানুজ সিংহ মহাপাত্র আবার এই ঘটনাকে ‘বাম-রামের সার্কাস’ বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এই জোট টিঁকবে না। পাঁচ বছর মেয়াদ পুরণের আগেই ভেঙে খান খান হয়ে যাবে।