রাজস্থানে বিদায়-ঘন্টা বেজে গেছে বিজেপির। এবারের বিধানসভা ভোটেই আসতে পারে পরিবর্তন। এমনই জানাচ্ছে একাধিক সমীক্ষার ফল।
বিজেপি যতই বলুক তারা সমীক্ষার পরোয়া করে না, আদতে কিন্তু তা নয়। কারণ ভোটের আগেই ভরাডুবির আঁচ পেয়ে দল ছাড়ার হিড়িক পড়ে গেছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে। বেশিরভাগ নেতা-কর্মীরাই যোগ দিচ্ছেন কংগ্রেসে। গতকাল, বুধবারই দিল্লিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন দৌসার বর্তমান বিজেপি সাংসদ হরীশ মিনা। যোগ দিয়েছেন নাগৌর কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক হাবিবুর রহমানও।
অন্যদিকে, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর নির্দেশে এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এবং তরুণ নেতা শচীন পাইলট। শোনা যাচ্ছে, এই দুজনই মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
প্রাক্তন আইপিএস অফিসার হরীশ মিনাকে দলে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক(সংগঠন) অশোক গেহলট ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শচীন পাইলট। একে মিনার ‘ঘর ওয়াপসি’ বলছেন কংগ্রেস নেতারা।
মিনা কংগ্রেসী পরিবারের মানুষ। অতীতে তাঁর পরিবারের সদস্যরাও কংগ্রেসি ছিলেন। অশোক গেহলট মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক ছিলেন তিনি। ২০১৪-র লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছিলেন। দৌসা থেকে জিতেও ছিলেন। সেখানে তিনি হারান, নিজের দাদা কংগ্রেস প্রার্থী নমো নারায়ণকে।
তবে সদ্য প্রকাশিত বিজেপির প্রথম দফার প্রার্থী তালিকায় নাম নেই গতবারের ২৫ জন বিজয়ীর। বাদ পড়েছেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও ৫ বারের বিধায়ক সুরেন্দ্র গোয়েল ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিধায়ক হাবিবুর রহমান। প্রসঙ্গত, ২০০৮-এ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কংগ্রেসেই ছিলেন হাবিবুর। তিনি বলেন, ‘বিজেপি থেকে ইস্তফা দিয়েছি। আসলে বিজেপির নীতি হল মুসলিমদের প্রার্থী না করা।’
সূত্র থেকে পাওয়া খবর প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর মোট ২১ জন বিধায়ক দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। টিকিট পাননি ক্যাবিনেট মন্ত্রী কালীচরণ সরাফ, রাজপাল সিং শেখাওয়াত এবং ইউনিস খান। আর প্রত্যাশা মতোই প্রথম দফার তালিকায় ঠাঁই হয়নি কোনও কোনও মুসলিম প্রার্থীর। ফলে বিক্ষোভ জমেছে রাজস্থানের মুসলিম সমাজে।