রাজনীতির জগতে নতুন না হলেও সক্রিয় রাজনীতিতে এই প্রথমবার। দিলীপ-গড় মেদিনীপুরে ভোটে দাঁড়িয়ে জিতেছেন। তবে রাজনৈতিক সৌজন্যের পক্ষে তিনি। নিজেই জানিয়েছেন, ভোটগণনার দিন গণনা কেন্দ্রে বিরোধী প্রার্থী সমিত দাসের সঙ্গে তাঁর সহাবস্থানের কথা। দিলীপ ঘোষের গড়ে ১৫টি আসনের ১৩টিতেই জিতেছেন তৃণমূলের তারকা বিধায়ক জুন মালিয়া। এরকম কঠিন কেন্দ্রে জয়লাভ কতটা উপভোগ করছেন তিনি?
প্রশ্নের জবাবে জুন বলছেন, “ভীষণ ভাল লাগছে। দলও খুশি আমার উপর। আমি নিজেই নিজের জয়ে প্রচণ্ড আনন্দিত। আগেই বলেছিলাম, দিলীপ ঘোষের গড় ভীষণ শক্ত ঠাঁই। তার উপর ২০১৯-এ লোকসভায় কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছিল দল। সেখানে এই ফলাফল করতে পারব ভাবতেই পারিনি। এর জন্য ধন্যবাদ জানাব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যিনি মেদিনীপুরের অধিবাসীদের প্রচুর উন্নয়ন করেছেন। তাই সবাই আমার উপর ভরসা রাখতে পেরেছিলেন। অঞ্চলের মেয়েরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন আমায়।”
এ বারের বিধানসভা ভোটের সার্বিক ফলাফল প্রত্যেকটি দলের কাছেই অপ্রত্যাশিত। তা মানছেন জুন নিজেও। প্রবল বিজেপি হাওয়া থাকলেও মানুষ ভরসা রেখেছেন বাংলার মেয়ের ওপরেই। প্রচুর ভোটদাতা নীরবে ব্যালট বক্সে তাঁদের মতামত জানিয়েছেন। জুন বলছেন, “শুধুই বাংলা বা বাঙালি ভোট দেয়নি এ বার। সবাই মিলে এই জয় ছিনিয়ে এনেছেন। বাংলার দিকে গোটা বিশ্ব তাকিয়ে ছিল। আমি বলব, মানুষের দোয়া, প্রার্থনা, আশীর্বাদ, শুভেচ্ছা, ভালবাসা এক সঙ্গে মিলে গিয়ে এই ফল প্রকাশিত হয়েছে।”
এদিকে, ভোটের ফলপ্রকাশ হতেই বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোংরা ভাষায় কটাক্ষ করেছেন। যার জেরে কলকাতা পুলিশে তাঁর নামে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। তবে কঙ্গনাকে নিয়ে কথা বলতে নারাজ জুন মালিয়া। তিনি বলছেন, “ওঁকে আমি ধর্তব্যের মধ্যেই আনি না। এ টুকু বলতে পারি, ওঁর মাথা, মন সবটাই খারাপ হয়ে গিয়েছে। কঙ্গনার এক্ষুণি ভাল কোনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। একইভাবে হারের জেরে বিজেপিরও মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।”