তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েই শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি চালানো এবং তাতে ৪ ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে একের পর এক পদক্ষেপ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল প্রথমেই সাসপেন্ড করা হয়েছিল কোচবিহারের এসপি দেবাশিস ধরকে। এরপর বৃহস্পতিবার সিট গঠন করে পূর্ণাঙ্গ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। এবার ওই বুথে মৃত ব্যক্তিদের সরকারি চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন মমতা।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফার ভোটের দিন রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল শীতলকুচি। প্রথমে শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে একদল দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় বছর ১৮-র যুবক আনন্দ বর্মণের। তার পর আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় চার সংখ্যালঘু ব্যক্তির। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ওই মৃত পাঁচজনের পরিবারের একজনকে হোমগার্ডের পদে চাকরি দেওয়া হবে।
এদিন নবান্ন থেকে এক সাংবাদিক বৈঠক করে তিনি জানান, শীতলকুচি নিয়ে সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে। ওখানে পাঁচজন মারা গিয়েছিল, ‘চারজন রাজবংশী মুসলিম,
একজন হিন্দু। পাঁচজনের পরিবারকেই আমরা পাঁচটা হোমগার্ডের চাকরি দিচ্ছি। এই প্রতিশ্রুতিটা আমরা আগেই দিয়েছিলাম যে আমরা করব। আমরা দিচ্ছি ওদের চাকরি।’ এদিন আরও একটি বড় ঘোষণা করেন মমতা। তিনি জানান, নির্বাচন পরবর্তী হিংসায় যাদের মৃত্যু হয়েছে, রাজনৈতিক দল নির্বিশেষে সেই ১৬ জনের পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করবে রাজ্য।