ভোগ রান্না করলেন। সন্ধ্যায় পঞ্চপ্রদীপ নিয়ে আরতিও দিলেন। পুজো উপলক্ষ্যে বাড়িতে যত অতিথি এলেন সবার সঙ্গে আলাদা আলাদা ভাবে কথা বললেন, মিষ্টিমুখ করালেন। বাদ গেলেন না এলাকার গরীব-দুঃখীরাও। বাড়ির কালী পুজো উপলক্ষ্যে এভাবেই দেখা গেল বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। একা হাতে সব সামলে কালীর সামনে তিনি তখন ‘দশভূজা’।
এবার ৪০ তম বর্ষে পদার্পন করল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালী পুজো। স্বাভাবিকভাবেই আপ্লুত মমতা। টুইট করে সকলকে কালীপুজো ও দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজের বাড়ির পুজোর কথা উল্লেখ করে টুইটে লেখেন, ‘প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও আমার বাড়ির কালীপুজো হচ্ছে। ৪০ বছরের বেশি সময় ধরে এই পুজো হচ্ছে’।
বিকেল থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। সন্ধ্যা নাগাদ এসেছিলেন নবনীড় বৃদ্ধাশ্রম থেকে এসেছিলেন আবাসিকেরা। তাঁদের সামনে শ্যামাসঙ্গীত পরিবেশন করেন ইন্দ্রনীল সেন। আবাসিকেরাও গান শোনান। মুখ্যমন্ত্রী এঁদের মাঝখানে বসেই অভিষেকের মেয়ে আজানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে গান শোনেন। তবে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে গান শোনা হয়নি। মাঝে মধ্যেই অতিথি আসছিলেন। তখন গান শোনা থামিয়ে উঠে যেতে হচ্ছিল অতিথি আপ্যায়নে। ভোগ রান্না থেকে দর্শনার্থীদের দেখভাল – সবেতে ছিল তাঁর তীক্ষ্ণ নজর।
কালীঘাটে এবার একটু বড় ঘরে পুজো হয়েছে। শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশ। প্রতিমা সাজানোও হয়েছিল খুব সুন্দর করে। এই প্রথমবার মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালীপুজো ফেসবুক লাইভে দেখলেন রাজ্যবাসী। শিরোনাম ছিল, ‘আমার বাড়ির কালীপুজো’। সন্ধের পর প্রতিমাদর্শনের জন্য বাড়ির সামনে বিরাট লাইন পড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে, তাঁদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। পুজোর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ ছাড়া ছিলেন শশী পাঁজা, অরূপ রায়, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, সুব্রত বক্সি, নির্মল মাজি, ডেরেক ও’ব্রায়ান, শান্তনু সেন–সহ বিশিষ্টরা। রাতেও অনেক মন্ত্রী কালীঘাটে আসেন। বহু সাংবাদিক, আলোকচিত্রীও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কালী পুজোয় এসেছিলেন। তাঁদের শুধু খোঁজখবরই নয়, দেখভালও করেছেন মমতা।