বুধবার দুপুরে মোহনবাগান ক্লাব প্রাঙ্গনে বসেছিল নবনির্বাচিত কার্যকরী সমিতির সভা। আর সেই সভাতেই ঘোষিত হল ক্লাবের নতুন সভাপতির নাম। কার্যকরী সমিতির সকল সদস্যের সম্মতিতেই মোহনবগানের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হলেন আইনজীবী গীতানাথ গাঙ্গুলি। কার্যকরী সমিতির শুরুতেই এদিন নতুন সভাপতি হিসেবে গীতানাথ বাবুর নাম প্রস্তাব করেন বাগানের নতুন সচিব টুটু বসু। এরপর সভার বাকি সদস্যরা টুটু বাবুর সেই প্রস্তাবে সহমত পোষণ করেন। সবুজ মেরুনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হলেন ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার।
নতুন সভাপতি হিসেবে নাম ঘোষণা হতেই যোগাযোগ করা হয় গীতানাথ বাবুর সঙ্গে। তাঁকে অনুরোধ জানানো হয় ক্লাবে এসে নতুন দায়িত্বভার গ্রহণ করার জন্য। সেখানেই ফুল, মালা, মিষ্টিতে বরণ করে নেওয়া হয় নবনির্বাচিত সভাপতিকে। এরপর ক্লাবের মাঠে কালীঘাট এমএসের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে হাজির হন গীতানাথবাবু।
কর্মসমিতির সভায় চুনী গোস্বামী, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেবশঙ্কর হালদার ও ডাঃ ভেস পেজকে লাইফ মেম্বারশিপ দেওয়া হল। মোহনবাগানে এর আগে সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের সাম্মানিক সদস্য পদ (এক বছরের জন্য) দেওয়া হলেও ক্লাবের তরফে কাউকে আজীবন সদস্য করা হয়নি।
এ বার নির্বাচনে জিতে টুটু বসু-সৃঞ্জয় বসু-দেবাশিস দত্তরা প্রেসিডেন্ট করার কথা ভেবেছিলেন চুনী গোস্বামীকেই। কিন্তু তাঁর সদস্য পদ না থাকায় নিয়মে আটকায়। ক্লাবের নিয়মে আছে প্রেসিডেন্ট হতে গেল কমপক্ষে ২০ বছর সদস্য থাকতে হবে। এ জন্যই প্রেসিডেন্ট করা হল বিশিষ্ট আইনজীবী বর্ষীয়ান সদস্য গীতানাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হওয়ার ক্ষেত্রে সদস্য পদের কোনও নির্দিষ্ট সময়ের মেয়াদ না থাকায় লাইফ মেম্বার করেই চুনী গোস্বামীকে করা হল ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই খবর পেয়ে উচ্ছ্বসিত চুনী। বললেন, ‘আমি সম্মানিত, অভিভূত। খেলার সময় বা তার পরেও কখনও কোনও ক্লাবে যাইনি মোহনবাগান ছাড়া। সেই ক্লাবের কোনও কাজে যুক্ত থাকতে পারার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত।’
তিনি ছাড়া বাকি পাঁচ ভাইস প্রেসিডেন্টের মধ্যে দু’জন মন্ত্রী। সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও অরূপ রায়। তিন জন ক্লাবের প্রাক্তন কর্তা–বলরাম চৌধুরী, বীরু চট্টোপাধ্যায় ও অসিত চট্টোপাধ্যায়। কো অপ্ট সদস্য করা হল মুকুল সিনহা, তরুণ আঢ্য ও শৌমিক বসুকে।