বিজয় মালিয়া, নীরব মোদী, মেহুল চোকসি, নীতিন সন্দেশরা – ব্যঙ্ক ঋণের টাকা না মিটিয়েই দেশ ছেড়ে পালানো শিল্পপতিদের তালিকাটা বেশ লম্বা। আর এই ব্যাপারে আগেই সাবধান করেছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন। ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলার একটি তালিকাও তিনি পাঠিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। অন্তত দু-একজন প্রতারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও আর্জি জানিয়েছিলেন।
সেটার কী ব্যবস্থা নেওয়া হল? এই ব্যাপারে জানতে চেয়ে চিঠি জমা পড়েছিল তথ্যের অধিকার আইনে। কিন্তু উত্তর এড়িয়ে গেলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর। উল্টে প্রশ্নের গায়ে পড়ল অন্তঃসারশূণ্য ও উদ্দেশ্যহীনের তকমা।
তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দ্রুত প্রতারণার ঘটনা জানানোর জন্য ২০১৬-র জানুয়ারিতে ওই প্রতারণা নজরদারি শাখা তৈরি হয়েছিল। যার অর্থ, তার পরেই প্রধানমন্ত্রীর দফতরে তালিকা পাঠিয়েছিলেন রঘুরাম রাজন। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালাও বলেছিলেন, ‘২০১৬-তে নরেন্দ্র মোদীর দফতরে পাঠানো ওই তালিকাতেই নীরব মোদী-মেহুল চোক্সিদের নাম ছিল’। কিন্তু তথ্যের অধিকার আইনে তা নিয়ে প্রশ্নে মুখে কুলুপ কেন্দ্রের।
নীরব মোদী, মেহুল চোকসিদের নিয়ে এমনিতেই মুখ পুড়েছে মোদী সরকারের। তার মধ্যে সংসদের এস্টিমেটস কমিটিকে পাঠানো রাজনের ১৭ পৃষ্ঠার নোট পাওয়ার পরেও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে মোদী সরকারের সদিচ্ছা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। আর এবার রাজনের তালিকা পাওয়ার পর কেন্দ্র কী পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই উত্তর এড়িয়ে যাওয়ায় ঋণখেলাপিদের বিদেশ পালানোর ব্যাপারে মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।