‘হালাল’ নিয়ে বেশ বরাবরই সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে হিন্দু সংগঠনগুলিকে। এর আগে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের ক্রমাগত চাপের মুখে নতিস্বীকার করতে হয়েছিল কেন্দ্রের মোদী সরকার। রেড মিট ম্যানুয়াল থেকে হালাল শব্দ সরিয়ে দেয় কেন্দ্রের অ্যাগ্রিকালচারাল এন্ড প্রসেসড ফুড প্রোডাক্টস এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা আপেডা। তবে এবার পাতে পরিবেশন করা মাংস ‘হালালে’র নাকি ‘ঝটকা’র, তা ক্রেতাদের জানিয়ে দিতে হবে উত্তর দিল্লীর রেস্তোরাঁগুলিকে। মঙ্গলবারই এই প্রস্তাব পাশ করেছে বিজেপি শাসিত উত্তর দিল্লী পুরসভা। কিছুদিন আগেই এই প্রস্তাব পেশ করা হয়েছিল পুরসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির পক্ষ থেকে। মেয়র জয় প্রকাশের নেতৃত্বে তা পাশ করা হয়। তাই এই প্রস্তাব মেনেই এবার থেকে উত্তর দিল্লীর রেস্তোরাঁকে মাংস কাটার পদ্ধতির উল্লেখ করতে হবে বলে জানান জয় প্রকাশ।
প্রসঙ্গত, ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে হালাল পদ্ধতিতে জবাই করা পশুর মাংসের চাহিদা বরাবর। আরবিতে হালাল শব্দের অর্থ অনুমোদিত। হালাল ফুড মানে যা শরিয়া আইন সম্মত। শরিয়া আইন অনুযায়ী, জবাইয়ের সময় পশুকে জীবন্ত হতে হবে, শরীর থেকে সব রক্ত বেরিয়ে যেতে হবে। উলটো দিকে ঝটকায় এক কোপে জন্তুর মাথা ধড় থেকে আলাদা করা হয়। রাজধানী দিল্লীর অধিকাংশ এলাকাতেই মাংসের কদর রয়েছে। রেস্তোরাঁগুলির পাশাপাশি খাবারের অনেক দোকান রয়েছে চাঁদনী চক, দরিয়াগঞ্জ, কাশ্মীর গেটের মতো এলাকায়। সেই সমস্ত জায়গাতেই নতুন এই নিয়ম মেনে চলতে হবে বলে জানা গিয়েছে। দক্ষিণ দিল্লীর পুরসভাও বিজেপি শাসিত। সেখানেও কিছুদিন আগে এই নিয়ম কার্যকর করা হয়েছে।