আই লিগের শুরুটা ভাল হল না মোহনবাগানের। ইস্টবেঙ্গলের পর মোহনবাগানের শুরুটা জয় দিয়ে হবে ভাবতে ভাবতেও হল না। মোহনবাগানকে কঠিন পরীক্ষার সামনে পড়তে হল। বিশ্রী আত্মঘাতী গোল হজম করে ড্র দিয়েই আই লিগ অভিযানের সূচনা হল দিকে-হেনরিদের। প্রথমার্ধের লিড ধরে রাখতে ব্যর্থ হল কলকাতা লিগ চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে কিমকিমার আত্মঘাতী গোলের জেরে প্রথম ম্যাচে জয় অধরাই রইল মোহনবাগানের। অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েই ঘরে ফিরতে হচ্ছে কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীদের ছেলেদের। খেলার ফল ১-১।
ম্যাচের আগে প্র্যাকটিসের জন্য মাঠ না পাওয়ায় সমস্যা ছিল মোহনবাগানের। তবে সেসব চিন্তা দূরে রেখে গোকুলামের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিলেন কোচ ও ফুটবলাররা। শনিবার ইএমএস স্টেডিয়ামে মাঠের হাল ছিল তথৈবচ। তা বারবার ফুটবলারদের খেলায় ফুটে উঠছিল। ঠিক সড়গড় হতে পারছিলেন না মোহনবাগানের ফুটবলাররা। অন্যদিকে, ঘরের মাঠের সুবিধা পেয়ে চনমনেই লাগছিল কেরলের ক্লাবের ফুটবলারদের। তবে প্রথমার্ধে বেশ কিছু গোলের সুযোগ পেয়েছিল বাগান। গোকুলামের গোলকিপার শিবিনরাজ ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ নাহলে নয়া বিদেশি ওমর নাবিল ও ডিকার নাম স্কোরশিটে জ্বলজ্বল করত।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে ,অরিজিতের ফ্রি-কিকে মাথা ছুঁইয়ে মোহনবাগানকে এগিয়ে দেন হেনরি কিসেকা। উগান্ডার ফরোয়ার্ডের গোলে ম্যাচে চালকের আসনে বসে যায় মোহনবাগান।
বিরতির পর পালটা চাপ বাড়াতে শুরু করে গোকুলাম। বেশ কয়েকটা ভুল করে বসেন বাগান গোলকিপার শংকর রায়। এক নম্বর শিল্টন পালকে এদিন বসিয়ে রেখে তরুণ শংকরকে দেখতে চেয়েছিলেন কোচ। আর সেটাই কাল হল বলা যায়। বাগানের বক্সে লাগাতার চাপ সৃষ্টি করতে থাকে গোকুলাম। মারাত্মক ভুল করে বসেন শংকর। ৭০ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে দূর্বল পাঞ্চে পালটা শট নেন গোকুলামের জয়রাজ। সেই শট ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গায়ে মেরে জালে ঢুকিয়ে দেন কিমকিমা। মোহনবাগানের আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরায় গোকুলাম। ম্যাচ শেষ হয় ১-১ স্কোরে। ঘরের মাঠে মোহনবাগানকে আটকে স্বস্তি পায় গোকুলাম, অন্যদিকে প্রায় জেতা ম্যাচ ড্র করার জন্য ডিফেন্সকেই দোষা ছাড়া উপায় নেই মোহনবাগানের কাছে।