‘দীপাবলী মিটে যাবে, ধনতেরাস মিটে যাবে, তারপর হাজার হাজার মানুষকে নিয়ে পাঁচ কিলোমিটার পদযাত্রা করে ব্রিগেডের প্রচার শুরু করব। এসো আরএসএস, এসো বিজেপি, কত ক্ষমতা লড়ে দেখে নেব।’ উত্তর দিনাজপুর জেলা তৃণমূলের ডাকা সমাবেশ মঞ্চ থেকে এভাবেই আরএসএস এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। পাশপাশি ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি বিরোধী সম্মেলনের প্রস্তুতিও শুরু করে দিলেন শুভেন্দু।
ইসলামপুরের দাড়িভিট কাণ্ডের পর বিজেপি-র ডাকা বনধের দিনই সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। বহু চেষ্টা করেও বিজেপি আটকাতে পারেনি তাঁকে। ইসলামপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন, ‘লক্ষণ শেঠের সিপিএম আমাকে ১১ বার নন্দীগ্রামে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। পারেনি। এখানেও বিজেপি পারবে না।’ পুজোর আগে ইসলামপুর কোর্ট ময়দানে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সভা করার দিনই পাল্টা সভা স্থির করে দিয়েছিলেন পরিবহন মন্ত্রী। পুজোর পর এদিন সেই কোর্ট ময়দানে সভা করেই বিজেপি এবং আরএসএস-কে তুলোধনা করে ছাড়লেন শুভেন্দু। উত্তর দিনাজপুরের ৯ টি ব্লকের কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন পরিবহনমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে। ছিলেন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, পঞ্চায়েত দফতরের প্রতিমন্ত্রী গোলাম রব্বানি-সহ জেলা তৃণমূল নেতারা।
দাড়িভিট কাণ্ডে আরএসএসের যোগ ছিল বলে আগেই অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহিরাগতদের হাত থাকার অভিযোগও করেছিল তৃণমূল। সেকথাই উল্লেখ করে কোর্ট ময়দানের উপচে পড়া ভিড়ের সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু জানান, ‘বনধের দিন বিজেপি এখানে নৈরাজ্য চালিয়েছিল। যারা বাস জ্বালিয়েছিল, তারা ধরা পড়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জনের বাড়ি বিহারের কিষানগঞ্জ, আর চার জনের বাড়ি নদিয়ায়। তারা ওই দিন এখানে কী করতে এসেছিল?’ লোকসভা ভোটের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, ‘আর তো পাঁচ-ছ’মাস। ইসলামপুর পার্লামেন্ট তো নেবই। সেলিম তো থার্ড হবেই। আর বিজেপি থাকবে আরও দূরে’।