পিছিয়ে যাচ্ছে বিজেপি’র প্রার্থীতালিকা প্রকাশ। আগামীকাল প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেড। এর মধ্যে অন্য দল থেকে বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার ঘটনাও থাকছে। থাকছে প্রাচীন ও নব্য বিজেপি’র মধ্যে দ্বন্দ্বের আশঙ্কাও। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি বেশ সঙ্কটময়।
আগে জানা গিয়েছিল, ৪ বা ৫ মার্চ নাগাদ রাজ্য বিজেপি’র তরফে তাদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে। ৪ তারিখ রাতের মধ্যে কেন্দ্রীয় নির্বাচন সমিতির সঙ্গে এই মর্মে রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকও হয়ে গিয়েছিল। তবু ৫ তারিখে বিজেপি তাদের প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করতে পারল না। বিজেপি সূত্রে জানান হল, মোদীর ব্রিগেডসভা মিটলে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা হবে।
কিন্তু মোদীর সভা মিটলে কেন? প্রার্থীতালিকা যদি চূড়ান্তই হয়ে গিয়ে থাকে, তা হলে তা আগেই প্রকাশ করতে সমস্যা কোথায়? এই প্রশ্নের কোনও সদুত্তর বিজেপি নেতারা দিচ্ছেন না। তবে বিজেপি সূত্রের খবর, প্রার্থীতালিকা প্রকাশের পর বিজেপির অন্দরে ঝড় ওঠার আশঙ্কা করছেন নেতারা। এদিকে তৃণমূল এবং অন্যান্য দল ছেড়ে ইতিমধ্যেই বহু বড় বড় নাম বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক মহলের মত, সুনির্দিষ্ট কোনও প্রতিশ্রুতি ছাড়া তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, এমনটা মোটেই নয়। সুতরাং প্রার্থীতালিকা ঘোষিত হলেই কোথাও আদি, কোথাও নব্যদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে, এমনই আশঙ্কা বঙ্গ বিজেপির। মোদীর ব্রিগেড সমাবেশের আগে সেই ক্ষোভ তৈরি হোক এবং ব্রিগেডের প্রস্তুতিতে এর কোনও নেতিবাচক প্রভাব পড়ুক, এটা একেবারেই চাইছেন না বিজেপি নেতৃত্ব।
প্রথম দফার জন্য মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ৯ মার্চ। সে ক্ষেত্রে ৭ মার্চ সন্ধ্যানাগাদ প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করা বেশ অস্বাভাবিকই। যাঁরা সদ্য বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে খবর। যাঁরা তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে বিজেপি’র সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, তাঁদের মধ্যেও বেশ কয়েকজন বিজেপি’র টিকিট পেয়ে যেতে পারেন। প্রকাশ্যে সে কথা কেউ বলছেন না। কিন্তু দীনেশ বাজাজ বা মালা সাহাদের নাম বিজেপির প্রার্থীতালিকায় থাকলে অবাক হওয়ার কারণ নেই, এ কথা বিজেপি নেতারাই আড়ালে জানাচ্ছেন।