রাজ্যে বিধানসভা ভোটে এবার ইস্যু সেই দিল্লীর কৃষক আন্দোলন। ১১ মার্চ রাত থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত এই রাজ্যে লাগাতার কর্মসূচি পড়বে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। তাদের একটাই দাবি, কৃষি আইন বাতিল করা এবং বিজেপিকে রুখতে অন্য যে কোনও রাজনৈতিক দলকে ভোট দিন।
১১ মার্চ রাতে দিল্লী আন্দোলনের কৃষক নেতৃত্ব কলকাতায় আসবেন, এসে তাঁরা রাত্রিবাস করবেন বড়বাজারের গুরুদ্বারে বা গেস্টহাউসে। তারপর দিন থেকে লাগাতার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সদস্যরা। ১২ মার্চ দুপুর ১২:৩০ নাগাদ কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করবেন তারা। তারপর ২:১৫ নাগাদ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বাংলার কৃষকদের হাতে দেশের কৃষকদের চিঠি তুলে দেবেন। সেই দিনই দুপুর ২:৩০-এ ট্রাক্টর মিছিল করে কৃষক দূতদের সঙ্গে নেতৃত্ব রামলীলা পার্কে পৌঁছোবেন। সেখানে বিকেলে বাংলার কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত রয়েছে। সন্ধ্যেয় খালসা স্কুলের মাঠে বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ওই প্রতিনিধি দল। রাতে হলদিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তাঁরা।
১৩ মার্চ নন্দীগ্রাম কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েতে ১০ হাজার জমায়েত করে কৃষি আইনের বিরোধিতায় আক্রমণ শানাবেন তারা। তারপর কলকাতার শহিদ মিনার কিংবা অন্য স্থানে দুপুর ৪ নাগাদ ২০ হাজার জমায়েত করে কৃষক-মজুর মহাপঞ্চায়েত করবে সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। সিঙ্গুর ও আসানসোলেও একটি সভা করবে তারা। কলকাতায় এই কর্মসূচিতে আসছেন একাধিক কৃষক নেতা। উপস্থিত থাকবেন রাকেশ টিকায়েত, হান্নান মোল্লা, যোগেন্দ্র যাদব, বলবীর সিং রাজেয়াল, জুধবীর সিং প্রমুখ।