ধর্মীয় ইস্যু নিয়ে বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছে মোদী সরকার। ধর্মান্তরকরণ ও বিয়ে সংক্রান্ত নয়া আইন নিয়েও শুরু হয়েছে প্রবল সমালোচনা। সরব হয়েছে রাজনৈতিক মহল ও বিরোধী দলগুলিও। তবে বিজেপি জোট শাসিত রাজ্য বিহার এ প্রসঙ্গে খুব একটা মুখ খোলেনি। এ নিয়ে তাদের জোট শরিক জেডিইউকে প্রশ্ন করা হলে তাদের তরফে জানানো হয় যে, তাঁরা এই ধরনের আইন নিয়ে আগ্রহী নয়। এতেই বেড়েছে জল্পনা। ইতিমধ্যে অরুণাচলে জেডিইউ ছেড়ে বিজেপিতে কর্মীদের যোগদানের পর নীতীশের বক্তব্য ঘিরেও জোর ফিসফাস শুরু হয়েছিল। প্রশ্ন ওঠে, তবে কি এবার বিজেপির সাথে রাজনৈতিক গাঁটছড়া ছিন্ন করতে চলেছে জেডিইউ ? এমতাবস্থায় মুখ খুললেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। নীতীশের জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসার সম্ভাবনাকে খানিকটা প্রশমিত করলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নীতীশ কুমার বলেছিলেন, তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে চাননি। বিজেপি জোর দিয়ে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসিয়েছে। এরপরই নীতীশের এককালের সহযোদ্ধা সুশীল মোদী জানান, নীতীশ আসলে বলতে চেয়েছেন, যে বিজেপি ও জেডিইউয়ের নেতারাই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকতে বলেন, কারণ মানুষের জন সমর্থন নীতীশের পক্ষে ছিল। ‘জোর করে মুখ্যমন্ত্রী’ করা হয়েছে , এমনটা বলতে চাননি নীতীশ। এমনই জানিয়েছেন বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী।
সম্প্রতি অরুণাচল প্রদেশে জেডিইউ ছেড়ে ছয় বিধায়কের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে তোলপাড় চলছে বিহারের রাজনীতিতে। যে দুই দল বিহারে মসনদে রয়েছে, সেই দুই দল অরুণাচলে বিরোধী শিবিরে থেকে প্রবলভাবে সংঘাতের আবহে উস্কানি দিচ্ছে। জেডিইউয়ের ঘরে ভাঙন ও তাতে বিজেপির ঘরে ‘লাভ’, নীতীশ-শিবিরকে খানিকটা অসন্তুষ্ট করেছে। জেডিইউয়ের তরফে রীতিমতো কটাক্ষও করা হয়েছে বিজেপিকে। পদ্মশিবিরকে নিশানায় রেখে জেডিইউ জানিয়েছে, অরুণাচলে যা ঘটেছে তাতে জোট বিহারে অটুট থাকলেও, অরুণাচলে বিজেপি জোট ধর্ম পালন করেনি। আর জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগীর এই বক্তব্য ঘিরেই জল্পনা চড়েছে। ত্যাগী বেশ চড়া সুরেই তোপ দেগেছেন গেরুয়া শিবিরের দিকে।
এমন পরিস্থিতিতে বিহারের বিজেপি সাংসদ, তথা নীতীশের ঘনিষ্ঠ সুশীল মোদী জানিয়ছেন, অরুণাচলে যা ঘটেছে , তার প্রভাব বিহারে পড়বে না। বিহারে দুই পার্টিই সমানভাবে হাতে হাত মিলিয়ে সরকার চালাবে, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন সুশীল।