আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে রয়েছে আন্তোনিও লোপেজ হাবাসের ছাত্ররা। সম্প্রতি এফসি গোয়া এবং বেঙ্গালুরু এফসি-র মতো দুই কঠিন প্রতিপক্ষকে হারিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। যথারীতি আরও সাহসী ও উত্তেজিত সবুজ-মেরুন শিবির। মঙ্গলবার তাদের সামনে প্রতিপক্ষ চেন্নাইয়িন এফসি। ম্যাচ জিততে রীতিমতো মুখিয়ে রয়েছে মোহন-তাঁবু।
আইএসএলের গত মরসুমের ফাইনালে এই চেন্নাইয়িনকে হারিয়েই তৃতীয়বারের মতো খেতাব জিতেছিল তৎকালীন এটিকে। তারপরে মোহনবাগানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন পরিচিতি পেয়েছে তারা। দলও সেজে উঠেছে নতুন আঙ্গিকে।তবে খুব একটা খোলনলচে বদলায়নি ম্যানেজমেন্ট। চেন্নাইয়িনও গিয়েছে কিছুটা ওঠাপড়ার মধ্য দিয়ে। কোচ থেকে ফুটবলার, বদলেছে অনেক কিছুই। গতম্যাচে এসসি ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে দুরন্ত খেলেছে তারা। যদিও ম্যাচ ২-২ ব্যবধানে ড্র হয়। মঙ্গলবার তারাও নামবে পুরো পয়েন্টের লক্ষ্যেই। এদিকে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চান হাবাসও। কাজেই বছরশেষের ম্যাচে প্রস্তুতিতে কোনো ফাঁকি চায়না মেরিনার্সরা। লিগ টেবিলে তারা এখন দুই নম্বরে। শীর্ষে রয়েছে মুম্বই সিটি এফসি। তাদের পয়েন্ট এটিকে মোহনবাগানের পয়েন্টের সমান হলেও গোল পার্থক্যের হিসেবে তারা এক নম্বরে রয়েছে। তাই মঙ্গলবারের ম্যাচ জিতে মুম্বইয়ের ওপর চাপ বাড়িয়ে রাখতে চান প্রবীর-প্রীতমরা।
চেন্নাইয়িনকে হারানোর ব্যাপারে বেশ আত্মবিশ্বাসী এডু গার্সিয়া। তবে একইসঙ্গে বলছেন, গোয়া এবং বেঙ্গালুরুর মতোই শক্তিশালী চেন্নাইয়িন। এডু জানান, “ওদের সবার খেলার স্টাইল একইরকম। শেষ মিনিট পর্যন্ত লড়াই করতে পারে। গোল করে জেতার চেষ্টা করে। রোজই উন্নতি করছে ওরা।” গতবারের চেন্নাইয়িনের সঙ্গে তুলনায় যেতে নারাজ তিনি। ‘‘এক এক মরসুম এক এক রকমের হয়। এবছর কোভিডের কারণে পার্থক্য বেশি করে চোখে পড়ছে। মাত্র এক বা দু’গোলে ম্যাচ জিততে পারছি বলে আমাদের আক্ষেপ নেই। আসল লক্ষ্য তিন পয়েন্ট। দেখতে হবে আমরা কতগুলি সুযোগ তৈরি করতে পারছি।’’ জানিয়েছেন এডু।
অন্যদিকে, টিমের উল্লেখযোগ্য মিডফিল্ডার প্রবীর দাস এটিকে মোহনবাগানকে চেন্নাইয়িনের থেকে এগিয়ে রাখছেন, মূলত দুটি কারণে। “প্রথমত, আমাদের দলের খেলায় অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। রক্ষণ অটুট রেখে আগের দুটি ম্যাচের মতো খেলতে পারলেই জয় আসবে। দ্বিতীয়ত, চেন্নাইয়িন সদ্য ম্যাচ খেলে আসছে। সেখানে আমরা আট দিন বিশ্রামের সুযোগ পেয়েছি। ওদের ক্লান্ত থাকার সুযোগটা নিতে হবে।” জানিয়েছেন প্রবীর। ডার্বির গোলদাতা মনবীর সিংহকে সাপোর্টিং স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাচ্ছেন হাবাস। গোল করতে না পারলেও ওই পজিশনে যে তিনি স্বচ্ছন্দ, সেটা জানিয়েছেন পাঞ্জাবি স্ট্রাইকার। বলেছেন, “স্ট্রাইকারের পাশাপাশি দুটো উইংও পছন্দ আমাদের। গোলের মধ্যে দ্রুত ফিরতে হবে আমাকে। যে পজিশনেই খেলি, গোল করতে হবে। কোচ যেভাবে বলবেন সেভাবেই খেলব।” সবমিলিয়ে মঙ্গলবার চেন্নাইয়িন ম্যাচে ভরপুর সাহস আর জেদ বুকে নিয়েই ময়দানে নামবে মেরিনার্স-ব্রিগেড।