আইপিএস ইস্যুতে আগেই মমতাকে সমর্থন করেছিলেন দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী তথা মোদী-শাহদের বিরাগভাজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটরা। রবিবাসরীয় সকালে মমতাকে ফোন করে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন শারদ পাওয়ারও। এবার বাংলার তিন আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগা ওই নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টুইট করলেন তৃণমূল নেত্রী। কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে ফের আক্রমণ করেছেন তিনি। টুইটে মমতা লেখেন, ‘তিন পুলিশ অফিসারকে বদলি করে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।’
প্রসঙ্গত, গত ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে দলীয় কর্মসূচীতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। তা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে একটা সঙ্ঘাতের আবহ তৈরি হয়। নাড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ডেপুটেশনে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও ১৭ ডিসেম্বর ওই তিন অফিসারকে বদলি করে কেন্দ্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছয়। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়ে মমতা টুইট করেছিলেন, ‘রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে, এটা আমরা বরদাস্ত করব না।’
এই ঘটনা নিয়ে মমতাকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়ান দিল্লীর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট। তার পর শনিবারই টুইটে কেন্দ্রকে নিশানা করে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইট করেন, ‘দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো সঙ্কটে। বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জোর করে হস্তক্ষেপ করে তিন আইপিএস অফিসারকে বদলি করেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা অত্যন্ত আপত্তিজনক ঘটনা।’ বাঘেলের পরে ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিনও মমতার পাশে দাঁড়ান। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, ‘এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী।’ আবার যশবন্ত সিনহা বলেন, ‘একুশের ভোটের আগে বাংলায় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালাচ্ছে বিজেপি।’