একসময়ে বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ছিলেন মোদী-শাহের তুরুপের তাস। এখন সেই বসুন্ধরাই তাঁদের গলার কাঁটা। কংগ্রেস নেতারা রাজস্থানে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত। অন্য রাজ্যগুলিতে তুল্যমূল্য লড়াইয়ের আশা করছেন তাঁরা। বিজেপি নেতারাও কার্যত স্বীকার করে নিচ্ছেন, রাজস্থান তাঁদের হাতছাড়া হতে চলেছে। তার দায়টা তাঁরা এখন থেকেই চাপিয়ে দিচ্ছেন বসুন্ধরার ওপরেই। বিজেপি নেতারা বলছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্প ও তার রূপায়ন নিয়ে মানুষের কোনও নালিশ নেই। রাজস্থানের মানুষের ক্ষোভ বসুন্ধরা রাজের ওপরেই।
উপনির্বাচনের ফলাফল দেখেই বিজেপি শীর্ষ নেতারা বুঝেছিলেন, রাজস্থানে তাঁদের দলের অবস্থা ভালো নয়। বসুন্ধরা সরে গেলে তাঁরা মরিয়া চেষ্টা করতে পারতেন। কেন্দ্রে মন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে সেই চেষ্টাও করা হয়েছিল। কিন্তু বসুন্ধরা রাজি হননি। তাই এখন ঠিক হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে শেষের দিকে প্রচারে ঝড় তুলে একটা শেষ মরিয়া চেষ্টা করা হবে।
রাজস্থানে বিজেপির সংগঠনের সমস্যাও প্রচুর। বসুন্ধরার সঙ্গে দলের অন্যতম নেতা ওম মাথুরের বিরোধ সর্বজনবিদিত। দলের দুই প্রধান নেতার মধ্যে কথাবার্তাও বিশেষ হয় না। এখন যে প্রশ্নটা দলের অন্দরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, সেটা হল, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বসুন্ধরার অনুগামীরা কতটা প্রাধান্য পাবেন? এমনিতেই মোদী-শাহের নীতি হল, বর্তমান বিধায়কদের বদলে নতুন মুখ নিয়ে আসা। বিশেষ করে যাঁদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ রয়েছে। তাই বসুন্ধরার অনুগামীরা প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার নাও পেতে পারেন।
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড় মিলিয়ে ৬৫ টি লোকসভা আসন রয়েছে। এবার বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হলে তার প্রভাব কয়েকমাস পরে লোকসভা নির্বাচনে প্রভাব পড়তে বাধ্য। সেটাই বিজেপি নেতাদের মূল চিন্তার কারণ।