বিজেপি বিরোধী জোটে থাকার জন্য সিপিএমকে আহ্বান জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সিপিএম এখনও স্থির করে উঠতে পারেনি জোটে যাবে কিনা। তাঁদের ঘোষণা – রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনে কিছু আসনে প্রার্থী দেবে সিপিএম। বাকি আসনে বিজেপি ও তার সহযোগীদের হারাতে প্রচার তীব্র করবে। অর্থাৎ সেই ২০০৪ সালের সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত রণকৌশলেরই চর্বিত চর্বন শোনা গেল এবারের কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষণায়।
তাই আপাতত যেখানে বামেদের সংগঠন দুর্বল, সেখানে বিজেপিকে হারাতে সক্ষম বিরোধীদলকে সমর্থন করবে সিপিএম। টার্গেট বিজেপিকে আটকে দেওয়া। তাহলে কি ঘুরিয়ে কংগ্রেসকে মদত? রাজনৈতিক মহলের মতে, ছন্নছাড়া সিপিএম এখনও দ্বিধা কাটাতে পারেনি। তাই আসন্ন পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস কেমন ফল করে সেটা দেখে নিতে চান বামেরা। কংগ্রেস ভালো ফল করলে সীতারাম-সহ বঙ্গ ব্রিগেডের গলার জোর বাড়বে সন্দেহ নেই। কারণ, কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারাত লবির পাল্লা ভারী হলেও অস্তিত্বের সংকটে পড়া দলটিকে প্রাসঙ্গিক করে তুলতে যে ‘জোটই ভরসা’ তা বিলক্ষণ জানেন ইয়েচুরি-সহ বাংলা ব্রিগেড।
শ্রমিক সংগঠনের ডাকে নতুন বছরের গোড়াতেই বনধের পথে যাচ্ছে বামেরা। আগামী বছরের জানুয়ারির ৮ ও ৯ তারিখে বনধের ডাক দিয়েছে তারা। তার আগে ৩রা নভেম্বর মোদী সরকারের বিরুদ্ধে যুবদের আন্দোলন। ‘চাকরি কোথায়?’ ইস্যুতে ওই দিন দিল্লীতে বড় আন্দোলনে নামতে চলেছে তারা।