পুরাতন বাঙালি সংস্কৃতি নিয়ে বর্তমান প্রজন্ম একটু নাক উঁচু। ভূত চতুর্দশী নিয়েই তারা নানা রকম রঙ্গ-রসিকতা করে। বরং তাঁদের কাছে হ্যালোউইন বেশি আধুনিক। এর ওপর আবার চোদ্দো শাক? তা-ও আবার হয় নাকি? একেই তো শাক-সবজিই ঘোর অপছন্দ করে এইসময়ের ছেলেমেয়েরা। তারপর বাজারে ঘুরে-ঘুরে চোদ্দ শাক কেনা বা রান্নার পর তা খাওয়াতেও এঁদের ভীষণ অ্যালার্জি।
হলে কী হবে! মা-ঠাকুমারা তো এখনও অতটা ‘আধুনিক’ হয়ে উঠতে পারেননি। ফলে কালীপুজোর আগের দিন তাঁদের চোদ্দো শাক ও চোদ্দো প্রদীপ লাগবেই। এ দিকে বাড়ির ছেলেমেয়েরাও কিনতে যেতে চায় না এসব। ও দিকে বাজারে কোনও দিনই যে খুব গ্যারান্টি দিয়ে খাঁটি ১৪ রকম শাকই তরতাজা অবস্থায় মেলে, তা-ও তো নয়!
সেই বুঝেই এবার মুশকিল আসান করল রাজ্য সরকার। বলা ভাল ‘ওয়েস্টবেঙ্গল কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন’। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেই সুন্দর প্যাকেজিংয়ে তারা ১৪ শাক ও ১৪ প্রদীপ পাঠিয়ে দিচ্ছে সটান বাড়িতে। মাত্র ৯০ টাকায়। এর ফলে বাজারে গিয়ে চোদ্দ শাক কেনার ঝামেলা পোহাতে হল না। তার সঙ্গে সেগুলি চেনা বা না-চেনা নিয়ে কোনও অস্বস্তিও রইল না এবং বাসি-পচা শাকপাতা বাছাবাছির ঝক্কিও কমল।