বাংলার পর্যটনে বাড়ছে সম্ভাবনা। বিগত কয়েক মাসে রাজ্যে দ্রুত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে কর্মসংস্থানের হার। এবার পর্যটন ক্ষেত্রেও প্রচুর কর্মসংস্থান হতে চলেছে রাজ্যে। জানা গেছে, এবার থেকে সরকারের একটি অনলাইন কোর্স করলে, পর্যটনের বিভিন্ন কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারবেন আগ্রহী তরুণ-তরুণীরা। এমনকি যাঁরা পর্যটন ভালবাসেন, তাঁরাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমেও রোজগার করতে পারবেন।
পাশাপাশি, আগামী বছরের পর্যটন মেলার থিম হচ্ছে ‘জব অপরচুনিটি থ্রু ট্যুরিজম’। বুধবার ‘পর্যটন পর্ব’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ’কথা জানান ইন্ডিয়া ট্যুরিজম অফ কলকাতার আঞ্চলিক অধিকর্তা(দক্ষিণ) জেপি সাউ। গতবারের মত এ’বছরও ১৬-২৭ সেপ্টেম্বর গোটা দেশ জুড়ে ‘পর্যটন পর্ব’ পালিত হয়। জেপি সাউ জানান, এ রাজ্যের পর্যটন অনেক এগিয়ে গেছে। গত বছর বাংলায় প্রায় ৮ কোটি পর্যটক এসেছিলেন। এ’বছর সেই সংখ্যা আরও ৩ গুণ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, শমীক রায়। তিনি সম্প্রতি সেরা গাইড হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন। ছিলেন নেপচুন হলিডে প্রাইভেট লিমিটেডের চন্দ্রপ্রকাশ ভাট্টার। তাঁরা বলেছেন, নিজের দেশ, নিজের রাজ্য, নিজের মাটিকে আগে চেনা দরকার। এখন রাজ্যের পর্যটন অনেক এগিয়ে গেছে। এ রাজ্যে আসার জন্য প্রচুর বিদেশি পর্যটক আগ্রহী দেখাচ্ছেন।
প্রসঙ্গত, তিনদিনের সফরে শিলিগুড়ি এসে গতকালই গজলডোবায় মেগা ট্যুরিজম হাবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে তিস্তার বাঁকে বিপুল জলরাশি আর বোরোলির স্বাদ। অন্যদিকে বৈকুণ্ঠপুরের ঘন জঙ্গলের সবুজ আঁচল। মাঝে ক্যানভাসের মতো দাঁড়িয়ে আছে মেঘে ছেঁয়ে যাওয়া হিমালয়ের চূড়া। শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবির মত ‘ভোরের আলো’, মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প। রাজ্যে পর্যটনের মুকুটে যা নতুন পালক যোগ করেছে।