একদিকে পেট্রোপণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। মুম্বইয়ে লিটার প্রতি দাম যাচ্ছে ৯২ টাকা। অন্যদিকে টাকার দামে ধস নেমেছে। ডলারের সাপেক্ষে নেমেছে ৭৩ টাকা ৩৪ পয়সা। এমন সাঁড়াশি আক্রমণে সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পমহলে ত্রাহি ত্রাহি রব। কিন্তু মৌনি নিয়েছেন মোদী-জেটলিরা। দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই। বিজেপি নেতাদের আশ্বাস বাণীরও দেখা নেই। এসবের মধ্যে রান্নার গ্যাসের সিলিণ্ডারে দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্র সরকার। সব মিলিয়ে পুজোর আগে মধ্যবিত্তের কপালে চিন্তার ভাঁজ।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, পেট্রোপণ্যের দাম আরও বাড়তে পারে। কারণ, ইরানের ওপর আমেরিকার বাণিজ্যিক তথা আর্থিক নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা শেষ হচ্ছে আজ, ৪ নভেম্বর। আমেরিকার হুঁশিয়ারি ইরানের থেকে কোনও তেল আমদানি চলবে না। এই কারণে আন্তর্জাতিক মহলে তেলের জোগান কমে এসেছে। তাই স্বাভাবিক ভাবে অশোধিত তেলের দাম বেড়ে চলেছে। এখন যাচ্ছে ব্যারেল প্রতি ৮৫ ডলার। গত চার বছরে সর্বোচ্চ। আগামী তিন মাসের মধ্যে এই দাম ১০০ ডলার ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর যদি এটাই হয়, তাহলে ভারতের টাকার মূল্য এমনই ধসে যাবে যাতে বহু শিল্প বাণিজ্য চরম বিপদের সম্মুখীন হবে। আমদানি নির্ভর শিল্প একপ্রকার স্তব্ধ হয়ে যাবে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে পেট্রোপন্য আর টাকার দাম নিয়ে ক্ষোভ যে মারাত্মক আকার নিচ্ছে তা বুঝতে পেরেছে বিজেপি সরকার। ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রের শীর্ষ নেতারা। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র বেরচ্ছে না। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের মতে, পেট্রোল ডিজেলকেও জিএসটি-র আওতায় আনা উচিৎ। টাকার দর পড়ে যাওয়ায় ও বিপুল বাণিজ্য ঘাটতির কথা মাথায় রেখে আজ, বৃস্পতিবার দিল্লীতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন কেন্দ্রীয় শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রী সুরেশ প্রভু।